গৌরনদী
মুজিববর্ষে গৌরনদীর মাহিলাড়া হবে মডেল ইউনিয়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য সরকারী সম্পদের শতভাগ সুষম বন্টন, পরিকল্পিত রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ, শতভাগ ভিক্ষুক মুক্তকরন, সড়ক বাতি স্থাপণ, পতিত জমিতে একযোগে কয়েক লাখ বৃক্ষরোপণ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন, পিঙ্ক ভিলেজে রূপান্তর, কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান, পরিচ্ছন্ন হাট-বাজার, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অগ্রগতি, অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনা, শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠণ এবং বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে সম্পূর্ণ রূপে বদলে গেছে দক্ষিণাঞ্চলের ডিজিটালখ্যাত বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের গ্রামীণ দৃশ্যপট।
ফলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুইবার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ পদক ও একবার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ¯েœহধন্য মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে মুজিববর্ষের মধ্যেই পুরো ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করা হবে।
২০১১ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহ’র জ্যেষ্ঠ পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর পরিকল্পনায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এ ইউনিয়নের কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, দারিদ্রমুক্তি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি সরকারী সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
আধুনিক ইউপি ভবন নির্মাণ ঃ ২০১১ সালে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে এ ইউনিয়নবাসীর জন্য স্থায়ী কোন ইউনিয়ন পরিষদ ছিলোনা। পূর্বে যখন যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সুবিধামতো স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কিন্তু ২০১১ সালে সৈকত গুহ পিকলু প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এ ইউনিয়নবাসীর জন্য ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের্^ ইউনিয়নের পশ্চিম বেজহার গ্রামে একটি আধুনিক ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে জমি ক্রয় করেন। তারই ধারাবাকিতায় সেখানে সরকারীভাবে একটি আধুনিক ইউপি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যার উদ্বোধণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারী সম্পদের সুষম বন্টন ঃ ইউনিয়নবাসীর মধ্যে দারিদ্রতা দূরীকরনের জন্য সরকারী নির্দেশন মোতাবেক খানা জরিপের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে সরকারী ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভিন্ন সামাজিক ভাতা দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন কর্মসূচীসহ সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থের সুষম বন্টনের মাধ্যমে এ ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন করা হয়েছে।
পরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের চলাচলে অনুপযোগী গ্রামীণ সড়কগুলোকে মাটি কেটে বর্ধিতকরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যার সুফল ভোগ করছে এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়াও ১০ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়েছে। বাকি কাঁচা সড়কগুলোকে কার্পেটিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ভিক্ষুক মুক্তকরন ঃ সরকার সারাদেশে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা করার পর বরিশালের মধ্যে সর্বপ্রথম মাহিলাড়া ইউনিয়নটিকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু। ইউনিয়নের ২৫ জন ভিক্ষুক পরিবারের মাঝে ভিজিডি, ভিজিএফ, সরকারী ভাতা প্রদান ও চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত অর্থায়নের মাধ্যমে পূর্নবাসন এবং কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানের সু-দৃষ্টি থাকায় ইউনিয়নে দারিদ্রতা কমে এসেছে।
সড়ক বাতি স্থাপণ ঃ গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে শহরের আধুনিক সুবিধা দেওয়ার জন্য ইউনিয়নের সড়কগুলোতে আধুনিক রোড ল্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রামীণ সড়কের গুরুত্বপূর্নস্থান ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ২২৫টি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো ইউনিয়নের সড়কগুলোতে বাতি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
বৃক্ষরোপণ ঃ জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলাসহ বজ্রপাত থেকে রক্ষায় ইউনিয়নের ১৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কে বিভিন্ন ফলজ, বনজ, শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে রোপন করা হয়েছে আম, জাম, জাম্বুরা, তেঁতুল, জলপাই, আমলকি, চালতা, ডেউয়া, কাউ, সজনেসহ বিলুপ্ত হওয়া দেশীয় প্রজাতের ফলজ বৃক্ষ। এছাড়াও পৃথকভাবে সড়কের দুইপাশে তাল-খেজুরের চারা ও শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। ফলে ২০১৯ সালে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন জেলার দুইবারের শ্রেষ্ঠ পদক প্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু।
স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য ঃ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে সরকারী-বেসরকারীভাবে ২৬৮টি গভীর নলকূপ স্থাপন, দরিদ্র পরিবারদের মাঝে বিনামূল্যে রিং, ¯øাব বিতরণ ও হাট-বাজারে আধুনিক গণলেট্রিন নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরনের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার ফলে জেলার মধ্যে এ ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে মডেল ঘোষনা করা হয়েছে। ফলে গত ৪ মার্চ মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে ইউপি চেয়ারম্যানের ভুয়শী প্রশংকা করেছেন আমেরিকার নাগরিক ও উন্নয়ন সংস্থা ইউএসআইডি’র প্রতিনিধি এরিয়েলা ক্যামেরা।
পিঙ্ক ভিলেজ ঃ ইউনিয়নের সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে পিঙ্ক রঙ্গে রঙিন করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ইউনিয়নকে পিঙ্ক ভিলেজে রূপান্তর করতে ব্যক্তিগত ভবনগুলোকে একই রংয়ে সাজিয়ে তুলতে চেয়ারম্যান ইউনিয়নবাসীকে উৎসাহ প্রদান করে আসছেন।
কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান ঃ সরকারী প্রনোদনাগুলো কৃষকদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণসহ কৃষকদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে এনে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার করতে প্রতিনিয়ত উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহায়তায় বিভিন্ন গ্রামে ভার্মি কম্পোষ্টের কারখানা গড়ে তুলেছেন কৃষকরা।
ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ ঃ দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ইউনিয়নে ১৮টি ব্রিজ ও ১০টি কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া ২০১১ সালে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু।
পরিচ্ছন্ন হাট-বাজার ঃ হাট-বাজারগুলোকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ডাসবিন বিতরণ করা হয়েছে। ফলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হাট ও বাজারে রূপান্তরিত হয়েছে পুরো মাহিলাড়া ইউনিয়ন।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি ঃ ইউনিয়নের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটালাইজড করনের জন্য ইতোমধ্যে মাহিলাড়া এএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেশিন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা বিস্তারের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলে-স্কুলে গড়ে তোলা হয়েছে মুজিব কর্নার। নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সম্প্রতি ইউনিয়নের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অর্থে পুরস্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের বই বিতরণ করা হয়েছে। যা বরিশাল বিভাগের মধ্যে প্রথম কোন উদ্যোগ।
অপরাধ প্রবনতা হ্রাস ঃ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ছোট-বড় অপরাধগুলোকে নিয়ন্ত্রন ও পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যার সুফল ভোগ করছে গোটা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ২০১১ সাল থেকে এ ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে ৩৬৮টি মামলার আবেদন করা হয়। যারমধ্যে ৩৪৩টি মামলা নিস্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়াও ২৫টি মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলার দুইবারের শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত ও প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু জনকণ্ঠকে বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর পরই গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই দীর্ঘদিনের ভাগ্যবঞ্চিত মাহিলাড়া ইউনিয়নের উন্নয়নের চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থমকে যায়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্ণরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে আমি (পিকলু) মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির দিক নির্দেশনায় ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। ফলে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পরা এ ইউনিয়নটি কয়েক বছরের ব্যবধানে সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইলট ইউনিয়নে পরিনত করেছি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে মুজিববর্ষের মধ্যেই ইউনিয়নটিকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করা হবে।