গৌরনদী
গৌরনদীতে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চামড়া বেচাকেনার মোকাম হিসেবে পরিচিত। এ খানকার চামড়ার ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশুর চামড়ার কম দাম ও চাহিদা না থাকায় বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। চামড়া সংরক্ষনের ব্যবস্থা না থাকায় চামড়া পচনের আশঙ্কা করছেন এসব ব্যবসায়ীরা। চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী ছোলেমান হাওলাদার বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা থেকে খুচরা বিক্রেতা (ফড়িয়ারা) চামড়া ক্রয় করে গৌরনদীর টরকীর বৃহত্তর পাইকারী মোকাবে চামড়া বিক্রি করেন। প্রতিবছর ঈদের দিনে কোরবানির পশু জবাই করার পর পরই ফড়িয়ারা হাজির হন চামড়া কেনার জন্য। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। এবার কোনো মহাজনই চামড়া ক্রয় করেন না। কোরবানির পর পর ঢাকার ট্যানারির মালিকরা টরকী থেকে প্রতি বছর চামড়া ক্রয় করে নিজস্ব পরিবহনে ঢাকায় চামড়া নিয়ে যান। এ বছর ট্যানারির কোন মালিক না আসায় চামড়া নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছি আমরা। তাই চামড়ার দাম গত ত্রিশ বছরের তুলনায় এ বছর খুবই কম।
অপর ব্যবসায়ী শওকত হাওলাদার বলেন, বড় গরুর চামড়ার দাম ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, মাঝারি আকারের দাম ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা এবং ছোট আকারের দাম ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় চামড়া বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের চামড়ার কোন মূল্য নেই।
মৌসুমী ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান জানান, তারা গ্রাম থেকে চামড়া ক্রয় করে টরকী মোকামে বিক্রির জন্য আনা হলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তাদের কাছ থেকে নামে মাত্র মূল্যে ক্রয় করেন। এ বছর তার ৫০ হাজার টাকা লেঅকসান হয়েছে বলে জানান।
চামড়া ব্যবসায়ী মোঃ ফিরোজ হাওলাদার, সোহেল হাওলাদার বলেন, একটা চামড়া যদি বিনা মূল্যেও ক্রয় করি, তার পরেও একটা চামড়ার পিছনে ৩০০ টাকা খরচ আছে। ট্যানারীর মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে গেলে তারা চামরা ক্রয় করবেন না জানান। এখানে চামড়া কেনার বড় মোকাম হলেও, এবারে ঢাকা থেকে মহাজনরা চামড়া কিনতে না আসায় আমরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছি। আমারা চামড়া ভারতে পাচার হওয়ারও আশঙ্কা করছি। চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।