গৌরনদী
কলেজ ছাত্র-কর্মজীবিসহ চার স্বজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ ঘটনার দিন বড় ভাই ঢাকায় কর্মস্থলে এবং ছোট তিতুমীর কলেজে ক্লাসে তার পরেও দুই ভাইসহ চার স্বজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওযা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বরাকোঠা ইউনিয়নের উত্তর বরাকোঠা গ্রামে। বিষয়টি বরিশাল পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। বাড়ি দখল নিতে সন্ত্রাসী সেলিম মল্লিক শামীম মল্লিক গংদের এলাকা ছাড়া করতেই এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ভূক্তভোগী পরিবার জানান, উত্তর বরাকোঠা গ্রামের আকবর মল্লিকের পুত্র রোকন মল্লিকের ঘরের চালের বৃষ্টির পানি একই বাড়ির নাসির মল্লিকের জায়গায় পড়লে এ নিয়ে উভযের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এক পর্যায়ে রোকন তার স্বজনরা নাসির মল্লিক(৩০)কে মারধর করে। এ ঘটনায় নাসির মল্লিকের বাবা নুরু মল্লিক বাদি হয়ে রোকন মল্লিকসহ ৬ জনকে আসামি করে উজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, ঝগড়াঝাটি ও মারামারি ঘটনায় রোকন মল্লিক ও নাসির মল্লিক দুই পক্ষ জড়িত। তাদের সঙ্গে শামীম মল্লিক গংদের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু স্থানীয় মামলাবাজ সেলিম মল্লিক নাসির মল্লিককে প্ররোচিত করে তার (সেলিমের) প্রতিপক্ষ ঢকার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত শামীম মল্লিক(৪৫) তার ছোট ভাই ঢাকা তিতুমীর কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সজল মল্লিক(২৩), চাচাতো ভাই সবুজ মল্লিক(২৫) ও চাচা জামাল মল্লিক(৫০)কে হয়রানী করতে মামলায় আসামি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বাড়ির অনেকেই জানান, ঘটনাটি ঘটেছে রোকন মল্লিক ও নাসির মল্লিকের সঙ্গে। তাছাড়া ঘটনার দিন শামীম, সজল, সবুব ও জামাল এলাকায় ছিলেন না। অথচ তাদের আসামি করা হয়েছে।
শামীম মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, রোকন ও নাসিরের বিরোধের মধ্যে আমরা কেউই ছিলাম না। ঘটনার সময় আমি ও আমার ভাইসহ চাচায় ঢাকায় ছিলাম অথচ মামলায় আমাদের আসামি করা হয়েছে। উত্তর বরাকোঠা গ্রামের আমাদের প্রতিপক্ষ সেলিম মল্লিকের সঙ্গে জমাজমি নিয়ে আমাদের বিরোধ রয়েছে। ওই সেলিম মল্লিক মারামারি ঘটনার মামলার বাদি নুরু মল্লিককে প্ররোচিত করে হয়রানী করতে আমাদের মামলায় আসামি করিয়েছে। বিষয়টি বরিশাল পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেলিম মল্লিক তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত ৬ এপ্রিল আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে বর্তমানে আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানী করে বাড়ি দখল নেওয়ার পায়তারা করেছে। মিথ্যা মামলার হয়রানী থেকে বাঁচতে আমরা স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্শর্কর্তা(ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।