গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় দুটি বাল্য বিয়ে বন্ধ, তিন জনের কারাদ-
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উদ্যোগে গতকাল বুধবার দুটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এসময় তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের মো. রুহুল আমিনের মেয়ে ও শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রুবিনা আক্তার (১৪)এর সঙ্গে একই গ্রামের রব হাওলাদারের ছেলে সাদ্দাম হাওলাদের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউানেও) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল একদল পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়। এসময় পুলিশ কনে স্কুল ছাত্রী রুবিনা আক্তার, পিতা মো. রুহুল আমিন ও মাতা মিলি বেগম ও বরের মাতা সেতারা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। দুপুরে আগৈলঝাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল কনের মাতা মিলি বেগম ও বরের মাতা সেতারা বেগমকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।
অপরদিকে একইদিন উপজেলার আস্কর গ্রামের আকবর মোল্লার মেয়ে ও আস্কর স্কুল এ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী বন্যা আক্তারকে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে অঅগৈলঝাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কনে বন্যা আক্তার, পিতা আকবর মোল্লাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল কনের পিতা আকবর মোল্লাকে ৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। এসময় উভয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ে করবে না মর্মে মুচলেকা আদায় করেন । গতকাল বিকেলে দ-প্রাপ্তদের বরিশাল কেন্দ্রীয়কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উভয় কনের অভিভাবকরা তাদের ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, বয়স না তারা আর কন্যাদের বিয়ে দিবের না। আগৈলঝাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল সত্যতা স্বীকার করেন।