গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় নদী দখল করে নির্মান করা স্থাপনা উচ্ছেদ ও উচ্ছেদে বাঁধা দেয়ায় জড়িমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পয়সা-কদমবাড়ি এলাকায় প্রায় ১০/১৫ শতাংশ জমি সরকারি জমি দখল করে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মান শুরু করেন এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে আগৈলঝাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দেয়ায় অবৈধ দখলদারকে ৫শ টাকা জড়িমানা করা হয়।
স্থানীয় লোকজন, উপজেলা ভুমি কার্যালয় ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের প্রভাবশালী আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৮) সন্ধ্যা নদীর পয়সা-কদমবাড়ি এলাকার প্রায় ১০/১৫ শতাংশ জায়গা দখল করে গত কয়েক দিন ধরে দোকান পাট ও স্থাপনা তৈরী শুরু করেন। স্থানীয়রা নদী দখল করে দোকানপাট নির্মানে সোহাগকে নিষেধ করে কিন্তু সোহাগ স্থানীয়দের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নির্মান কাজ অব্যহত রাখে। এলাকার মিজানুর রহমান বলেন, কিছু দিন আগে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে পয়সাহাট সেতুর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। তাই আমরা সোহাগকে নদী দখলে বাঁধা দেই কিন্তু সে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে সন্ধ্যা নদীর পয়সা-কদমবাড়ি এলাকায় দখল করে বিশাল দোকান ঘর নির্মান শুরু করে। অবৈধ দখলদার সোহাগ “সত্যের সন্ধানে’ নামক একটি সমবায় সমিতির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সে ব্যক্তিভাবে মুড়ির মিল দেয়ার পায়তারা করছিল। পরবর্তিতে এলাকাবাসি নদী দখলের বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিসকে অবহিত করেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ভূমি অফিসের তহসিলদার রবিন দাস গুপ্ত জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে নদী দখলের খবর পেয়ে বিষয়টি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে জানালে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ফাতিমা আজরীণ তন্বি একদল পুলিশ ও শ্রমিক নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সন্ধ্যা নদীর আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সা-কদমবাড়ি সন্ধ্যা নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মানাধীন মুড়ির মিলের কাঠামো ভেঙ্গে দিয়ে নদী দখলমুক্ত করেন। উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিলে সোহাগকে আটক করা হয়। পরে জড়িমানা দিয়ে মুক্ত হন। নদী দখলের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহাগ নদী দখলের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি নদী দখল করি নাই। আমার রেকর্ডিয় জমিতে ঘর দুয়ার নির্মান করেছি। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীণ তন্বি বলেন, সন্ধ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাট, ঘর দরজাসহ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে নদী দখলমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয়ায় দখলদার সোহাগকে ৫শ টাকা জড়িমানা করা হয়েছে।