বরিশাল
উজিরপুরে পাঠকক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা খুলে পরে দুই শিক্ষার্থী আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালিন সময় পাঠ কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা (ফ্যান) খুলে পরে দশম শ্রেনির দুই শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হয়। আহতদের উজিরপুরের শোলক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তৌহিদুল ইসলামকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ধামুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এইচ, এম, জাকির হোসেন দশম শ্রেনির পাঠদান করছিলেন। হঠাৎ করে শ্রেনি কক্ষে ঝুলানো বৈদ্যুতিক পাখা খুলে ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের শরীরের উপর পরে। এ সময় দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম (১৪) ও রেশমী ইসলাম(১৪) গুরুতরভাবে আহত হন। আহতদের উজিরপুরের শোলক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ধামুরা বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভতির্ করা হয়। সেখানে অবস্থায় অবনতি ঘটলে শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলামকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ফুয়াদ হোসেন জানান, তাওহিদুল ইসলামের মাথায় কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। মাখায় সিটিস্কান করার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়। এবং রেশমী ইসলাম শরীর কেটে যাওয়ায় সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তবে তারা দুজনই শঙ্কামুক্ত।
বিদ্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী কানাই লাল জানান, বরিশাল ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের ঠিকাদার ভবনটি ২০০৩ সালে নির্মান করেন। নিন্মমানের কাজ হওয়ায় ছাদে পানি চুষে রডে মরিচা ধরে পচে গিয়েছে। পচা রডের সঙ্গে ঝুলানো ফ্যান খসে পরে শিক্ষর্থীরা আহত হন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শোলক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস ফকির বলেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। বিষয়টি নেহায়েত দূর্ঘটনা। তবে ওই ভবনের প্রতিটি কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা পরীক্ষা করা হবে। যাতে ভবিষ্যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সহিদুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আহতদের চিকিৎসার সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যাতে এ ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।