বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার হাট বাজারে গত ২/৩ দিন ধরে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাতির মাহুতের চাঁদাবাজিতে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ।
স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা জানান, গত ২/৩ দিন ধরে আগৈলঝাড়া উপজেলার আগৈলঝাড়া সদর, গৈলা, রথখোলা, হাসপাতাল রোড ও পয়সারহাটসহ হাট বাজারে একটি হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করছেন গোপালগঞ্জ থেকে আগত একটি সার্কাসের হাতির মাহুত মো. আবদুল্লাহ (৪০)। হাতির মাহুত হাতি নিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে অবরোধ করে হাতি নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন এবং টাকা না দেওয়া পর্যন্ত পথরোধ করে থাকেন। টাকা দিলেই মাহুত আবদুল্লাহ হাতি নিয়ে পাশ্ববর্তি দোকানে যান। এভাবে দিনভর চাঁদাবাজি করে মাহুত আবধুল্লাহ।
গতকাল সোমবার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে একটি চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে হুংকার দিয়ে শুড় তুলে দাড়িয়ে আছে হাতিটি। দোকানী চলে যেতে বললেও মাহুত টাকা ছাড়া যেতে নারাজ। ব্যবসায়ী চিত্ত ঘরামী মাহুত আবদুল্লাহকে জানান দোকানে বেচাকেনা ভাল না তাই টাকা দেয়ার মত অবস্থা নেই। কিন্তু কোন কথাই সে শোনেনি। পরে বিশ টাকা দেয়ার পরে চলে যায়। গৈলার মুদি দোকানী কাওছার হোসেন জানান, হাতির চাঁদাবাজিতে ব্রবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। রথখোলা বাজারে ব্যবসায়ী রুহুল সরদার জানান, হাতি দিয়ে মাহুত জবরদোস্তি করে চাঁদাবাজি করেছে। অপর দিতে হাতির পিছনে পিছনে দল বেঁধে শিশুরা ছুটতে গিয়ে সড়কে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। টাকা না দিলে দোকানের সামনে ঘিরে থাকে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুত মো. আব্দুল্লাহর কাছে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ জেলায় সার্কাস খেলা দেখাতে এসেছি হাতির খাবারের জন্য টাকার প্রয়োজন। কারণ, হাতিরও তো জীবন আছে এবং তারও তো খাবারের প্রয়োজন হয়। আমি এটাকে অন্যায় মনে করি না। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা খুশি হয়ে টাকা দিচ্ছে। ২০/ ৫০ টাকা করে দিনে ৫/৬ হাজার উঠলে হাতির পেট চলে যায়।