সারাদেশ
সুন্দরবনে জ্বালানি রূপান্তর ক্যাম্পেন, সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির যন্ত্রাংশ ট্যাক্স ফ্রি করার দাবি
মোঃ নূর আলম, মোংলা থেকেঃ জলবায়ু পরিবর্তনের হারকে ধীরগতি করা এব্ং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নির্মানের লক্ষ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমানো অত্যন্ত জরুরি। তাই সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস এবং যন্ত্রাংশ ট্যাক্স ফ্রি করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রণোদনা দিতে হবে। সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা এবং এই খাতের বিকাশে উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি তহবিলের যথাযথ এবং স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ”১৪ দফা ১৪দিন, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর আন্দোলনে যোগদিন” শ্লোগানে ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরে দেশব্যাপী প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমাপনী দিনে বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বনজীবীদের অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়। জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ ’জেটনেট বিডি’, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও মোংলা নাগরিক সমাজের যৌথ আয়োজনে এ অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বনজীবীদের অবস্থান কর্মসুচি চলকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহবায়ক পরিবেশ যোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। অবস্থান কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক নেতা সার্ভিস বাংলাদেশ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের টীম লিডার ইস্রাফিল বয়াতি, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী ইদ্রিস ইমন, শেখ রাসেল, নারী বনজীবী মিরা মন্ডল, শারমিন বেগম, জেলে সমিতির বেল্লাল ব্যাপারী, তপন মন্ডল প্রমূখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে জ্বালানির চাহিদার প্রধান অংশ পূরণ করছে জীবাশ্ম জ্বালানি। ফলে সুন্দরবনসহ প্রাকৃতিক সম্পদ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তারা সুন্দরবন বিনাশী কয়লা ভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের জোর দাবি জানান। সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোংলা নাগরিক সমাজের আহবায়ক মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, আমরা নাগরিক সমাজ সম্মিলিত কন্ঠে এমন এক পরিবর্তনের দাবি জানাই, যেখানে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তর ঘটবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম দূষণমুক্ত বিশুদ্ধ বাতাসে জীবন-যাপন করতে পারবে। সুবিধাবঞ্চিত ও ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠির ক্ষমতায়ন ঘটবে। পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে এবং একই সাথে অর্থনীতি টেকসই ও সমৃদ্ধ হবে।