প্রধান সংবাদ
আগৈলঝাড়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার মামলায় স্বাস্থ্য সহকারী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বসুন্ডা গ্রামের মৃত লেহাাজউদ্দিন মোল্লার ছেলে ও আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ আরিফ হোসেন মোল্লার (৪৫)বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার আগৈলঝাড়া খানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ওই দিন বিকেলে এজাহারভূক্ত আসামি আরিফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও কলেজ ছাত্রীর পরিবার জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার বসুন্ডা গ্রামের মৃত এফাজউদ্দিন মোল্লার ছেলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ আরিফ মোল্লা মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শিশুদের ভিটামিন এ-প্লাস খাওয়ানোর জন্য পশ্চিম রাজিহার কেন্দ্রে যাচ্ছিল। একই উপজেলার পশ্চিম রাজিহার গ্রামের আগৈলঝাড়া-রাজিহার সড়কের মন্ডল বাড়ির কাছে পৌছলে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে নলিনী মন্ডলের ঘরে দৌড়ে আশ্রয় নেয় আরিফ মোল্লা। এ সময় ওই বাড়িতে নলিনী রঞ্জনের কলেজ পড়–য়া মেয়ে (২০) ছাড়া ঘরে কেউ ছিল না। কলেজ ছাত্রীকে একা পেয়ে আরিফ মোল্লা তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় কলেজ ছাত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে স্বাস্থ্য সহকারী আরিফ মোল্লাকে বেদম পিটিুনি আটকে রাখে এবং আগৈলঝাড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে আরিফ মোল্লাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে প্রহৃত অসুস্থ্য আরিফ মোল্লাকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমরা বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে স্বাস্থ্য সহকারী আরিফ হোসেন মোল্লা বৃষ্টিতে আশ্রয় নিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে মেয়ের শ্লীলতাহানী ঘটায়। আমি ওর দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সহকারী আরিফ হোসেন মোল্লার বিচারের দাবীতে রাজিহার বাজারে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আরিফ হোসেন মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষরযন্ত্রের শিকার। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ আরিফ হোসেন মোল্লাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করে অসুস্থ্য বিধায় পুলিশ পাহারায় আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করে পরে উন্নত চিকিৎসার তাকে বরিশাল শের ই বাংলঅ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে বরিশাল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান হোসেন (প্রশাসন) ঘটস্থলে ছুটে আসেন এবং ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে বিচারের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে মামলায় চার্জশীট দাখিলের জন্য আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম ছরোয়ারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএএফপিও) ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন হবে।