বরিশাল
কীট সংকটে নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে না দেড় শতাধিক ব্যক্তির
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী, উজিরপুর ও আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার নিরীক্ষার কীট সংকটের কারনে নমুনা সংগ্রহ করতে পারছেন তিন উপজেলায় দেড় শতাধিক ব্যক্তির। সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তারা বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করে একাধিকবার তাগিদ দেয়ার পরেও মিলছে না কীট। এতে এলাকায় করোনা বিস্তার ঝুকির মধ্যে রয়েছে বলে একাধিক চিকিৎসক জানান।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাইয়্যেদ হাসান আমরুল্লাহ জানান, দেশে করোনা সনাক্ত হওয়ার পর থেকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার পর্যন্ত ৩৪টি কীট সরবারহ করেছে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিস। ৩৪ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হলে তার মধ্যে ১৪ জন ব্যক্তির রিপোর্ট হাতে পৌছেছে।এতে ১৩ জন নেগটিভ ও একজন পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, গৌরনদীতে ৮০ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো খুবই জরুরী কিন্তু কীট না থাকায় গত তিন দিনেও নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। বিষয়টি লিখিতভাবে বরিশাল সিভিল সার্জনকে অবহিত করে একাধিকবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গৌরনদীতে করোনা সনাক্ত নারীর সংস্পর্শে থাকা ৫ জন ব্যক্তি রয়েছে। ওই নারীর গৃহপরিচিকা কিশোরীর অবস্থা কিছুটা খারাপ।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান, শুরু থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩টি কীট সরবারহ করা হয়। শনিবার পর্যন্ত ১৩টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তার মধ্যে ৬টির রিপোর্ট হাতে পৌছেছে। যার ৫জন নেগেটিভ ও এক শিশু করেনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, কীট সংকটের কারনে যে কেউ পরীক্ষা করতে বা করাতে চাইলেই আমরা নমুনা সংগ্রহ করতে পারছি না। একদম জরুরী প্রয়োজনই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কীট সংকটে ৫০ জন ব্যক্তির নুমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন বলেন, ২২ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে ১২টি রিপোর্ট হাতে এসেছে। তার মধ্যে একজনের পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এখানে কীট সংকটে ২০ জন নমুনা সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চিকিৎসক জানান, স্থানীয় চাহিদা ও করোনা উপসর্গে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনমত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে না পারলে এলাকায় করোনা বিস্তার ও ঝুকি বৃদ্ধি বাড়বে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন কীট সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, কীট সরবারহ একটি চলমান প্রক্রীয়া মাঝে মাঝে সংকট হয় পরবর্তিতে চাহিদা পুরন করা হয়। বর্তমানে সংকট রয়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরবারহ করা হবে।করেনা পজেটিভ সনাক্ত হওয়া নারীর সংস্পর্শে থাকা ৫ ব্যক্তির বিষয়টি তার নখদর্পনে বলেও জানান ।