বরিশাল
দীর্ঘ ৭ বছর পর ॥ উজিরপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল, সুবিধাবাদীদের দৌড়ঝাপ শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ দীর্ঘ ৭ বছর পরে ব্যাপক আয়োজনে উজিরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ঘাত প্রতিধাত পেরিয়ে বিএনপির মত একটি শক্তিশালী দল তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দলকে আরো শক্তিশালী করার জন্য নতুন আঙ্গীকে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরী করার উপর জোড় দেন দলের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি নতুন আমেজ তৈরী হয়েছে। অপর দিকে পদ পাওয়া না পাওয়ার সংকার কোন কমতি নেই। তবে নিতী নির্ধারকরা সু-চিন্তিত মতামতের মাধ্যমে একনিষ্ঠ যোগ্য ব্যক্তিদের দলের পদ প্রদান করার চিন্তাভাবনা করছেন। অপরদিকে সুবিধাবাদী বিএনপির নেতারা কাউন্সিল ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই দলীয় পদ পেতে বিভিন্নভাবে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এমনকি আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে গোপন সক্ষতা তৈরী করে কেস মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ঘাপটি মেরেছিল। নেতাকর্মীদের দূর্দিনে তাদের পাশে পর্যন্ত দাড়ায়নি। বর্তমান কমিটিতে সভাপতি হেসেবে এস.সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু একক প্রার্থী হলেও তিনি যদি বানারীপাড়া উপজেলার সভাপতি পদ গ্রহন করেন সেক্ষেত্রে বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আঃ মাজেদ তালুকদার মান্নান মাষ্টার ও সহ-সভাপতি হুমায়ুন খান সভাপতি পদের জন্য প্রতিদন্ধিতা করবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অপরদিকে সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদন্ধিতার জন্য বর্তমান সম্পাদক মাজেদ তালুকদার মান্নান মাষ্টার, ভাইস প্রিন্সিপাল মনির সরদার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ফিরোজ হোসেন, মশিউর রহমান মনির এর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে আলোচতি বিষয় হচ্ছে এক সময় বিএনপির তুখর রাজনীতিবিদ ডাবেরকুল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আটিপাড়া গ্রামের হাসেম সরদারের ছেলে মনির সরদার ২০১৫ সালের ৬ মার্চ শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদে চাকুরী নেওয়ার জন্য বর্তমান আ’লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতি এস.এম জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চুর কাছে লিখিত অঙ্গীকার প্রদান করেন যে তার চাকুরী হলে আ’লীগের সাথে যোগদান করে আজীবন আ’লীগের সৈনিক হিসেবে রাজনীতি করে যাবেন। অপরদিকে তার পরিবারের আপন ”াচাতো ভাই বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ও কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ফুপাতো ভাই শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরু হাওলাদার। একারনেই আ’লীগের সাথে গোপন সক্ষতা রেখে নিজেকে সুরক্ষিত করে রেখেছেন। বর্তমান ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপির নীতি নির্ধারক হয়েও গোপনে নৌকা প্রতিকের প্রাথীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। এমনকি উপজেলা বিএনপির কোন নেতাকর্মী তাকে রাজনৈতিক সভা সমাবেশে দেখতে পাননি। বর্তমানে আমেরিকা বসে তার নিজস্ব ব্যক্তিদের দিয়ে টাকার বিনিময়ে সাধারন সম্পাদক বাগিয়ে নেওয়ার জন্য তদবির চালাচ্ছেন। এনিয়ে বামরাইল ইউনিয়নে বিএনপি নেতার্কমীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস,সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু কাউন্সিল সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন আমরা ও আমার দল গনতন্ত্রে বিশ্বাসী, কাউন্সিলের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হবে। তবে দলের আদর্শিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রতি ওয়ার্ড থেকে সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সহ মোট ২৭ জন কাউন্সিলর ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারবেন। কোন পদে নিজেদের মধ্যে আপোষ মিমাংশা করতে পারলে ভোট প্রয়োজন হবে না। কমিটি গঠনের পূর্বে কোন খসরা তালিকা করা হয়নি। জেলা কমিটির সন্মানিত সভাপতি এবাদুল হক চাঁন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন সহ ৮/১০ জন নেতারা কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা যায় পৌর বিএনপির কমিটির নেতারা একটি খসরা তালিকা প্রনয়ন করেছে। সকালে উপজেলা বিএনপির কমিটির কাউন্সিল বিকেলে পৌর বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিল অধিবেসন এস.সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুর গুঠিয়াস্থ নিজস্ব বাসভবনে সকাল ১০টায় শুরু হবে। উজিরপুর পৌর বিএনপির প্রাথমিকভাবে সভাপতি হিসেবে মহসিন ফকির সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান টুলুর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সভাপতি হিসেবে হুমায়ুন খানের নামও আসতে পারে।