গৌরনদী
বাংলা নববর্ষ ও স্মৃতিতে বৈশাখ
জাগুক হৃদয়ে নব আনন্দ, সঙ্গীতে দাও নতুন ছন্দ, দূর করে দিয়ে সকল দুঃখ, এসো নববর্ষ! শুভ নববর্ষ ১৪২২। কবিতার এ লাইগুলোর মধ্যে খুঁেজ পাওয়া যায় বাংলা নববর্ষ ১৪২২’র প্রত্যশা ও প্রাপ্তি। ফাগুনের বসন্তের ঝরা পাতা নতুনের আহবানে ফিরে আসে গ্রীঞ্চ। গ্রীঞ্চের তাবদাহ ধরাকে করে উত্যপ্ত আর প্রখরিত। গ্রীঞ্চকাল-বৈশাখের খরতাপের হৃদয় তৃষায় হানে। কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও বলেছেন সময়টা আরামের নয়। তারপরেও শিশু কিশোর বুদ্ধসহ সকল মানুষ গলা ফাটিয়ে বলছে, এসো হে বৈশাখ, এসো হে। বাঙালী ছাড়া আর কেউই এমন করে তার নববর্ষকে আবাহন করে না। তাই বাংলা নববর্ষ বাঙালীর গৌরব, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। বিগত দিনের গ্লানীকে পদদলিত করে নতুন রুপে উৎভাসিত হোকে বাংলা নববর্ষ। গাইবো সবাই বৈশাখের গান এ প্রত্যশা নিয়ে “স্মৃতিতে বৈশাখ” প্রবন্ধটি লেখা শুরু করছি ।
একটি নিবন্ধে পড়েছি সারা বছরে নববর্ষের সূচনা করার মত অনূকুূল সময় আরো ছিল। এক সময় তাই হতো। অগ্রহায়ন মাসে নাম থেকেই বোঝা যায়, কোন এককালে তাকেই গন্য করা হতো বছরের শুরু বলে। তখন হেমন্তকাল চারিদিকে নরম রোদ, একটু হিম হিম ভাব। বেশ অরামের কাল। কিন্তু সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। অগ্রহায়ন বদলে বাঙালী তার নববর্ষ আরম্ভ করল বৈশাখ মাস থেকে। অগ্নিস্নানই সই, কাল বৈশাখিতেও ভয় নেই। ধোপ দুরস্ত বাঙালী গগনবিদীর্ন করে চিৎকার করছে, এসো হে বৈশাখ। অন্য জায়গার বাঙালীর চেয়ে বাংলাদেশের বাঙালীই একটু বেশী করে অমন করে। নববর্ষকে সে দেখে তার সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের অংশ বলে। একদা পাকিস্তানী শাসকেরা বাঙালী নববর্ষ উদযাপনকে নিরুৎসাহ করতে চেয়েছিল, বাঁধাও দিয়েছিল প্রকারান্তরে। তবেই হুঁশ হল বঙ্গ সন্তানদের। সারা বছর বাংলা তারিখের খোঁজ নেই, কিন্তু সে মরিয়া হয়ে যাই পয়েলা বৈশাখে জন্য। কোমর বেঁধে লেগে যাই দিনটি পালন করতে। নববর্ষ উদযাপন এখন বাংলাদেশের প্রধানতম উৎসব। এরমধ্যে আমরা খুঁেজে পাই আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, আমাদের-স্বকীয়তা, আমাদের অস্তিত্বের শিকড়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র বয়স নির্বিশেষে সবাইস্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নিতে পারেন, এমন এক উৎসব বাংলা নববর্ষ। এই বাংলায় হাজার হাজার বছর ধরে বাংলা ও বাঙালীর যে পথ চলা, তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে পয়লা বৈশাখ। এটি পরিনত হয়েছে বাঙালী সংস্কৃতি ও লোকজ ঐতিহ্যের অংশ। বাংলা সনের প্রথম এই দিনটিবাঙালীর লোকায়িত জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত হয়ে আছে। এ দিনটি আসে শুভ বার্তা নিয়ে, আসে আনন্দ উল্লাসের উপলক্ষ্য হয়ে, আসে বাঙালীয়ানার দীক্ষা নিয়ে। এ দিনটিতে অনুভব করি আমরা লোকায়ত গৌরবোজ্জল এক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা। সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে আছে আমাদের জীবন যাপনের নানান উপাদান। শুধু বৈশাখী নয়; বাঙালীর জীবনের উৎসবের শেষ নেই কিন্তু একসাথে সকল ধর্মের বর্নের মতাদর্শের মানুষেরা এই উৎসবটিই উদযাপন করতে পারে।
পঞ্জিকাই একটা জাতির পরিচয়ের মূলসূত্র নয়। কিন্তু নিজেদের যে একটিা পঞ্জিকা আছে- স্বতন্ত্র, একান্ত, বিশেষ- তা একটা বলার বিষয়, সবাইকে জানানোর মত কথাÑ আনন্দোর, গৌরবের, অহংকারের ব্যাপার। সনমাত্রেরই উদ্ভব হিসেবে- নিকেশের জন্য। রাজস্ব সংগ্রহের প্রয়োজনেইতো বাংলা সনের সূচনা। তাই আশ্চর্য নয় যে, ব্যবসায়ীদের হালখাতা খোলাই ছিল এককালে নবর্ষের মূল উৎসব। তার মধ্যে অবশ্য আনন্দের উপকরনও ছিল। হালখাতা উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়ার, বিশেষ করে মিষ্ঠান্ন বিতরনের রেওয়াজ ছিল। বৈশাখি মেলায় হরেক রকমের সামগ্রীর প্রদর্শনী ও কেনা বেচা ছিল বিনোদনের একটা উৎস। কোনো না কোনোভাবে সবাই দিনটাকে উৎসবে আনন্দ দিয়ে ভরে লাখার চেষ্টা করত। আর্থিক কারনে সমাজের উল্লেখ্যযোগ্য জনগোষ্ঠীকে উৎসব বা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া থেকে বঞ্চিত হন। ফলে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে আত্ত্বিক বন্ধন গড়ে উঠে না। অথচ নিবির ও ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ে তোলার জন্য সার্বজনীন উৎসবের কোনো বিকল্প নেই। এজন্যই পয়লা বৈশাখ বাঙালী জাতির বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ন উৎসব।
বাংলাদেশের শুধু প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলেই নয়, বাংলা নববর্ষ উৎসব জনপ্রিয় হয়েছে দেশের শহর থেকে বন্দরে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। দিনটিকে ঘিরে আয়োজন করা হয় শোভাযাত্রা, মেলা, কবিতা পাঠের আসর, গানের আসর, নৃত্যানুষ্ঠান, বিভিন্ তৈজসপত্রের সামগ্রী, লোকজ ঐতিহ্যের সামগ্রী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষের মেলায় পসড়া সাজিয়ে বসে বাহারী রঙের নানান জিনিসপত্র। এ রং গ্রাম বাংলার বাঙালী শিশু, কিশোর, যুবক, যুবতী, বৃদ্ধ, আবল, বনিতাসহ মানুষের মনের রং। মনের রঙীন স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে ঘিরেই আমার দেশের স্বপ্ন, আমার দেশের অর্জন। তাই দেশের সমৃদ্ধি পুরনে কাজে লাগাতে হবে বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখের সম্মিলিত উৎসবের শক্তি। শুধু পয়লা বৈশাখের নয়, বাঙালীর সকল উৎসবের । আমাদের ইতিহাসের ধারা, ঐতিহ্যের পারম্পর্য বহন করে নিয়ে চলছে দেশের সরল মানুষ। তারা অদম্য, তারা অপরাজেয়, তারা দূর্বার। তারা একুশে ফ্রেরুয়ারিতে তা দেখিয়েছে, ৬৯,র গনঅভ্যুল্থানে তা দেখিয়েছে, ৭১,র মুক্তিযদ্ধে তা দেখিয়েছে, ৯০র গনঅদ্ভুল্থানে তা দেখিয়েছে। শ্বাশত বাঙালীত্বের সন্ধানে তাদের যাত্রা থামবার নয়। স্বকীয় সংস্কৃতির লালনে তাদের প্রায়াস শেষ হওয়ার নয়। জয় হোকে তাদের আমাদের ভবিষ্যাত তাদেরই হাতে। নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে। যাহা হোক আমি এবার বৈশাখের অতীতের কিছু স্মৃতিচারন করতে চাই। যদিও বিষয়টি বহু পুরানো, শৈশবের কথা।
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, দেখেছি পশ্চিমা হানাদার হায়নার বর্বরতা। পুরো নয় মাসের মুক্তযুদ্ধকালীন স্মৃতি মানষপটে ভেসে উঠে। চোখের সামনে ভেসে উঠে রাজাকার আর লুটেরাদের চেহারা । কষ্ট হয়, যখন দেখি গৌরনদী সদরে ব্যববসায়ী (বর্তমান সিসিডিবি যার বাড়ি ছিল) অমূল্য কুমার সাহা বাড়ি লুটকারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে। একথাগুলো এ কারনে বললাম আমি যে বৈশাখী মেলার স্মৃতিচারন করতে চাই সেটা স্বাধীনতার কয়েক বছর পরের ঘটনা। তখন বৈশাখ মানে বুঝতাম মেলা, ঝড়-বন্যা, ঘুড়ি উড়ানো, আম টোকানো ইত্যাদি ইত্যাদি। বৈশাখী মেলায় যাওয়ার সাধ ছিল সাধ্য ছিলনা, ইচ্ছা ছিল সুযোগ ছিলনা। কারন আমার বাবা হলেন সহজ-সরল একজন ধর্মভীরু আল্লাওয়ালা মানুষ। তিনি এগুলো পছন্দ করতেন না। তাইতো মেলায় যাওয়ার জন্য বরাদ্দ ছিল না। একদিন চাঁদশী বৈশাখী মেলায় যাওয়ার জন্য সিদ্বান্ত নিলাম। চাঁদশীর বৈশাখী মেলার আদি নাম টিক্কাদার বাড়ির মেলা বা ঠাকুর বাড়ির মেলা। দক্ষিনাঞ্চলের বৃহৎ বৈশাখী মেলার মধ্যে এটি অন্যতম। তিন দিন ব্যাপি এ মেলা ৯ বৈশাখ শুরু হয়। আদিকালে বিশাল এলাকা জুড়ে এ মেলা বসত, নামতো মানুষের ঢল। কেনা-বেচা হত নানান সামগ্রী। বিনোদন হিসেবে ছিল রাধাচক্কর, ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ। সুযোগ খুঁজতে থাকলাম কিভাবে মেলায় যাওয়া যায়, তাই বুদ্ধি করে মেলারআগের দিন অর্থাৎ ৮ বৈশাখ মামা বাড়ি চলে গেলাম। লক্ষ্য চাঁদশী বৈশাখী মেলায় যাওয়া। তখনও স্বপ্নগুলো ছিল খুবই ছোট, সেগুলো পেলেই যেন পৃথিবীর সবকিছু পাওয়া। বাঁশি কেনা, চক্রা কেনা, ফুট-তরমুজ কেনা, মালাই (আইসক্রিম)খাওয়া আর বেশী জোর পুতুল নাচ দেখা। মামা বাড়ি থেকে টিক্কাদার বাড়ির মেলাখুব বেশী দুর নয়। একটি মাত্র কোলা (জমি) পার হলেই মেলা। বলতে গেলে মামা বাড়ি থেকে শোনা যেত মেলার সেই মন-মাতানো বাঁিশর সুর, ঢোলের বাদ্য, রাধাচক্করের কুচুর কুচুর শব্দ ও মানুষের কোলাহল। মামার কাছ থেকে মেলা খরচ চেয়ে ২০ টাকা নিয়ে বৈশাখের প্রখর রোঁদের মধ্যে দুপুর তিনটায় মেলায় রওয়ানা হলাম।)মেলায় যাওয়ার পথে হাটতে হাটতে মনের মধ্যে নানান পরিকল্পনা এই কিনবো-সেই কিনবো। মেলার কিছুদুরে সরু খালের উপর একটি তাল গাছের আড়ার সাকো ছিল। যদিও ওই সময় সাকোটি দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতেন না। কারন খালটি শুকনো। খালের মধ্যে পৌছে দেখলাম দুইজন যুবক তাস খেলছে তাদের ঘিরে দাড়িয়ে আছে আরো কয়েকজন মানুষ। দাড়ানো লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ টাকা ফেলছে আর দ্বিগুন পাচ্ছে। এমনি অবস্থা অনেকক্ষন দেখার পরে মনের মধ্যে এক ধরনের বাসনা জাগলো, আমি যদি টাকা ফেলি আর তা দ্বিগুন হয় তাহলে মেলা থেকে বেশী কিছু কেনা যাবে। কথায় বলে না “লোভে পাপ পাপে মৃত্যু”। কুঁড়ি টাকা কোটে ফেলতেই টাকা শেষ। আর কি-কুড়ি টাকা হারিয়ে চোখ ঢলে ঢলে কান্নাকাটি শুরু করে দিলাম। আমার কান্নাকাটির মধ্যেই ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল আমার চাচাতো মামা। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও ওই এলাকার প্রভাবশালী। মামায় অঅমাকে কাঁদতে দেখে কারন জানতে চান। আমার টাকা হারানোর ঘটনা শুনে ওদের দাবড়িয়ে দিয়ে টাকা ফেরত এনে আমাকে দিয়ে বলল।বাবা এটা খারাপ খেলা, এটাকে বলে তিন টাসের জুযা খেলা । জীবনে কখনো এটা খেলা খেলবে না। কুঁড়ি টাকা হাতে ফেরত পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ পেলাম। মেলায় গিয়ে মনের চাওয়া পাওয়া কিনে বাড়ি গেলাম। সে বাল্য বেলার চাওয়া পাওয়াগুলো ছিল খুবই ছোট ছোট, অল্পতেই যেন সন্তুষ্ঠি। সেই যে সারাক্ষন ছুটাছুটি, খেলা ধূলা, হাসি-খুশি । মন ছুটে যায় শৈশবে। ইচ্ছে করে নতুন করে ফিরে পেতে হারানো সেই দিন।
স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও যাওয়া পাওয়াগুলো খুব বেশী নয় কিন্তু কেন যেন মনে হয় এগুলো পাওয়া খুব কঠিন কাজ। যদিও আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকারনিশ্চিত করনের কথা বলা হয়েছে । আমরা কি পেয়েছি সংবিধানে লিপিবদ্ধ মৌলিক অধিকার। আমরা কি পেয়েছি প্রত্যাশিত গনতন্ত্র বা ভোটের অধিকার, সাম্প্রদায়িক সম্পীতি, মুক্তযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত স্বপ্ন। বাঙালী জাতির বাংলা নববর্ষের সম্প্রীতির শিক্ষা। আপনার সকলেই একমত হবেন এবং বলবেন না। আজকে নাকে হয় করতে হলে বাংলা নববর্ষের শিক্ষা নিয়ে বিভেদকে ভুলে গিয়ে উৎসবের মানষিকতায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিতে রুপান্তরিত করে আমাদের স্বপ্ন পুরনে পথ চলতে হবে। নববর্ষ মানে নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন, নতুন সংকল্প, নতুন শপথ গ্রহনের দিনÑ ব্যর্থতা আর না পাওয়ার গ্লানী কাটিয়ে রচিত হোক নব প্রাপ্তির পথচলা। নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে পয়লা বৈশাখের জয়গান। গান, আবৃত্তি, নিত্য আর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পুরানো বছরকে বিদায় দিয়েছি। অস্তমিত সূর্যের বিদায় বেলায় বিষাদনয়, ছিল আশা অর আনন্দের সুর। তাইতো শিল্পিরা সমেবেত কণ্ঠে গেয়েছেন-“রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাওগো এবার যাবার আগে” কিংবা “আজ সবার রঙ এ রঙ মিশাতে হবে, ওগো আমার প্রিয়, তোমার রঙিন উত্তরীয়” ইত্যাদি গান। বাংলা বর্ষবিদায় উপলক্ষে মনের মাঝে বেঁজে উঠে সুরের ঝর্নাধারা । সেই তিরবৃষ্টিতে গায়কেররই মুখ-ল থেকে রক্ত নয়, সোনা ঝরতে থাকবে, আরসেই সোনাঝরা কথাগুলো সুরের ধাবনে নদী ও শহর, দিগন্ত ও গ্রামগুলোকে ভূমি থেকে স্বর্গপানে উড্ডীন করবে, ভবিষ্যাৎকে নির্বিগ্ন আসনে বসিয়ে বৃক্ষপত্র ও পুস্পদল অর্চনা শুরু করে দেবেÑ“এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ”।
লেখক ঃ জহুরুল ইসলাম জহির, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, অনলাইন দৈনিক গৌরনদী২৪ ডটকম ও সাবেক সভাপতি গৌরনদী প্রেসক্লাব।