গৌরনদী
গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের দুই গায়েবী মামলায় ৩৭ বিএনপি নেতা বেকসুর খালাস
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০১৮ সালে বিএনপি নেতাকির্মর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের দায়ের করায় গায়েবী মামলা থেকে সোমবার পৃথক পৃথক আদালত থেকে ৩৭জন বিএনপি নেতা বেকসুর খালস পেয়েছেন। বরিশাল বিজ্ঞ ৩য় যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শিবলি নোমান খান ২৯ জন আসামিকে ও বরিশাল বিজ্ঞ দ্বিতীয় যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ৮ আসামিকে বেকসুর খালাশ প্রদান করেছে। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবি আব্দুর রহমান চোকদার ও মোঃ ইউসুফ সালাম।
আসামি পক্ষের আইনজীবি আব্দুর রহমান চোকদার জানান, ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর কোন ঘটনা ছাড়াই বোমা হামলার মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো. নুরুল হক তালুকদার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. বদিউজ্জামান মিন্টুকে প্রধান আসামিসহ পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. শাহ আলম ফকির, বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. মাহফুজ মোল্লা, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শরীফ স্বপন, পৌর যুবদলের সভাপতি মো. নান্না খান, সাধারন সম্পাদক জামাল হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রিয়াজ ভূইয়া, সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি জাকির হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক হান্নান শরীফ, সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ফরিদ মিয়া, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম মোর্শেদ মাসুদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গফুর সরদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামানসহ ২৬ জনের নামাল্লোখ করে অজ্ঞাতনামা ৯০ জনসহ ১১৬ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দাযের করেনন। ২০১৯ সালে ২ ফেব্রæয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ মাহাবুবুর রহমান ২৯ বিএনপি নেতাকে দোষী সাব্যস্থ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ ৭ বছর মামলাটি বিচারধীন থাকাকালে ১৫জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। সোমবার বরিশাল বিজ্ঞ ৩য় যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শিবলি নোমান খান নির্দোশ প্রমানিত হওয়ায় ২৯ জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে। আইনজীবি আব্দুর রহমান বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি এবং বিএনপি নেতারা মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছে।
হাফেজ নুরুল হক তালুকদার এজাহারে উল্লেখ করেছিলেন, ২০১৮ সারের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পরে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমানের বাড়িতে সভা শেষ করে বিভিন্নভাগে ভাগ হয়ে অনেক নেতাকর্মি বাড়িতে রওয়ানা হয়ে রাত পোনে ৯টার দিকে উত্তর পালরদী গ্রামে বিএনপি নেতা মো. বদিউজ্জামান মিন্টুর বাড়ির সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা আমাদের জীবন বিপন্ন করতে ৫/৭টি বোমা হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আতিক মিয়া, মামুন মিয়া, কব্বর হাওলাদারসহ অনেক নেতাকর্মি জখম হন। বরিশাল বিজ্ঞ দ্বিতীয় যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ৮ আসামিকে বেকসুর খালাশ প্রদান করেছে।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গৌরনদী উপজেলা সদরের ফিসারি অফিসের সন্নিকটে পাকিং করা পিক-আপ (ঢাকা ম্রেট্রো-ড-১৮-৩১৩৪) আগুন দেয় কে বা কারা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপি ৮ নেতার বিরুদ্ধে ৯ জানুয়ারি গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, অনিদিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচিতে পালনকালে বিএনপি নেতারা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। ১০বছর মামলা বিচারাধীন চলাকালে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। সোমবার বরিশাল বিজ্ঞ দ্বিতীয় যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ৮ আসামিকে বেকসুর খালাশ প্রদান করেছে বলে আসামি পক্ষের আইনজীবি ইউসুফ সালাম জানান।