বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় চাচীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ভাজিতাকে হাতুড়ি পেটা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চাচীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ভাজিতাকে চাচার হাতুড়ি পেটা। আহত ভাতিজাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের নুর মোহাম্মদ বেপারীর ছেলে প্রবাসী ছালাম বেপারীর স্ত্রী মেহেরুন বেগমের সাথে ভাসুর শাহেদ আলী বেপারীর ছেলে ভাতিজা শরিফুল বেপারীর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সর্ম্পক চলে আসছিল। পরকীয়ার কারনে চাচী মেহেরুন বেগমের সাথে ভাতিজা শরিফুল বেপারীর দৈহিক সর্ম্পক গড়ে উঠে। চাচীর সাথে ভাতিজার দৈহিক সর্ম্পকের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা শালিস মীমাংসা করে শরিফুলকে এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার রায় ঘোষনা করেন।
শরিফুল বেপারী দীর্ঘদিন এলাকার বাহিরে থাকলেও শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি না গিয়ে পাশ্ববর্তী ফুফু শেফালী বেগমের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন। এঘটনা চাচা ছালাম বেপারী জানতে পেরে ভাতিজা শরিফুল বেপারীকে দুই দফা হাতুরি পেটা ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে একই বাড়ির সাব্বির বেপারী, স্মৃতি বেগম, শেফালী বেগমকেও মারধর করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাতিজা শরিফুল ও সাব্বির বেপারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় শরিফুল বেপারীর মা শাহনাজ পারভীন বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। চাচা ছালাম বেপারীর ভাতিজা শরিফুল বেপারীকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রী মেহেরুন বেগমের সাথে পরকীয়ার কারনে শালিসরা শরিফুলকে এলাকার আসতে নিষেধ করেছিল। তারপরেও শরিফুল এলাকায় আসায় তাকে মারধর করা হয়েছে। এব্যাপারে থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, তদন্ত করে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।