বরিশাল
জাকিরের দোকান খুললেও খুলেনি নুরুলের চায়ের দোকান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান দুলাল বসে চা পান করার অভিযোগে মাহিলাড়া বাসষ্টান্ডের জাকির হোসেনের দোকান মঙ্গলবার সকালে খুলে দেয়া দেন আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ স্থানীয় নেতারা। তবে দুই দিন পার হলেও এখনও খুলে দেয়া হয়নি নুরুল ইসলামের দায়ের দোকান।
মাহিলাড়া বাসষ্টান্ডে জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকালে মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর কবিরাজ আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে দোকান খুলতে বলে । পরবর্তিতে চাবি এনে সকাল ৯টায় দোকান খুলেছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোকান খুলে দেয়ার কথা স্বীকার করে মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর কবিরাজ বলেন, স্থানীয় সবাই বলেছে জাকির হোসেন ভাল মানুষ তাই দোকান খুলে দেয়া হয়েছে। নুরুল ইসলাম জানান, দোকান খুলে দেয়ার আমি আওয়ামীলীগ নেতা ও যুবলীগ নেতাদের কাছে গিয়েছি কিন্তু কেউই দোকান খুলে দেয়নি। মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ রাসেল রারীর কাছে নুরুল ইসলামের চায়ের দোকান বন্ধ করার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। অভিযোগ অস্বীকার করে সাংগঠনিক সম্পাদক আলীম খান বলেন, নুরুল ইসলাম চা বিক্রির অন্তরালে মাদক বিক্রি করে এ বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হলে ভয়ে নিজ থেকে দোকান বন্ধ রাখে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর কবিরাজ বলেন, নুরুল ইসলামের দোকান খোলা না খোলা না খোলা নিয়ে আমাদের কোন সিদ্বান্ত নাই।
এ ছাড়াও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান দুলাল জাকিরের দোকানে বসে চা পান করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। ওই ছবিতে থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে মাহিলাড়া বাজারের সার ব্যবসায়ী, মাহিলাড়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রহিমের দোকানটি আওয়ামীলীগ নেতারা বন্ধ করে দিয়েছে বলে আব্দুর রহিম অভিযোগ করেন। মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর কবিরাজ বলেন, রহিমের দোকান বন্ধ করে দেয়ার কথা শুনেছি ।
উল্লেখ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাসষ্টান্ডে জাকির হোসেনের দোকানে (কাচা মালের আড়ৎ) জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান দুলাল বসে চা পান করার অভিযোগে শনিবার সকালে দোকানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেন মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর কবিরাজসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।