বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় স্কুল ছাত্রী অপহরণে দুটি মামলা দায়ের, অপহরনকারী গ্রেপ্তার এক ছাত্রী উদ্ধার-১
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ও একই উপজেলার গৈলা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এক ছাত্রীকে উদ্ধার ও এক অপহরনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের লখারমাটিয়া গ্রামের এক দিন মজুরের মেয়ে ও বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৫) স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন উত্যক্ত করে আসছিল বড় একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামের প্রভাবশালী মহিউদ্দিন ফকিরের ছেলে নিরব ফকির (২৫)। বখাটে নিরব বিভিন্ন সময়ে স্কুল ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয় এতে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের হুমকি দেয়। গত মঙ্গলবার সকালে প্রাইভেট পরতে বাড়ি ফেরার পথে সিকদার বাড়ির সামনে পৌছলে বখাটে নিরব ফকির তার ৪/৫ জনের সহযোগী সন্ত্রাসীকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহারন করে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যায়। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার নিরব ফকিরসহ ৪ জনের নামে আগৈলঝাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন মন্ডল বলেন, স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার ও অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
অপরদিকে অপহরনের ১৭ দিন পর আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঢাকার লালবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার দিবাগত রাতে অপহৃত গৈলা দাখিল মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৪) উদ্ধার ও অপহরণকারী সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার ভিক্টিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলী হোসেন জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে মাদ্রাসার গত ২৮ সেপ্টেম্বর অপহরণ করে গৌরনদী উপজেলার বার্থী (বাঘমারা) গ্রামের সালেক হাওলাদারের ছেলে সাঈদ হাওলাদার (২২) ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর আগৈলঝাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা। বুধবার রাতে ঢাকার লালবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী সাঈদকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃতা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে বরিশাল আদালতের কারাগারে এবং ভিক্টিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।