বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের পর মাদ্রাসায় ৪দিন আটকে রাখার অভিযোগে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ক্লাসে পড়া দিতে না এক মাদ্রাসা শিশু শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করে চিকিৎসা না অসুস্থ্য অবস্থায় মাদ্রাসায় ৪ দিন আটক করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রর বাবা বাদি হয়ে দুই শিক্ষককে আসামি করে শুক্রবার আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় লোকজন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিযোগে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কয়খা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ইমন মুন্সীকে (১২) উপজেলা সদরের আল জামিয়াতুন নাফিছিয়া আল ইসলামিয়া (মারকাজ) মাদ্রাসায় নুরানী প্রথম জামাতে ভর্তি করা হয়। গত ২৮ ফেব্রæয়ারি ক্লাসে পড়া দিতে না পারায় মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ও মিনহাজ খন্দকার শিক্ষার্থী ইমন মুন্সীকে বেত্রাঘাত করে বেদমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্তভাবে আহত করে। আহত অবস্থায় ইমনকে চিকিৎসা না দিয়ে ৪দিন মাদ্রাসার মধ্যে আটকে রাখে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইমন মুন্সীর বাবা আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ও মিনহাজ খন্দকার ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চিকিৎসা না দিয়ে আটকে রাখে এবং বিষয়টি গোপন রাখে। ছেলে ইমন শুক্রবার রাতে কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে বিষয়টি আমাকে জানায়। শিক্ষকরা কিভাবে এত নিষ্ঠুর ও অমানবিক হয়! অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আত্মগোপনে থাকা শিক্ষক মাওলানা মিজানুর রহমান নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পড়া দিতে না পারায় শিশু শিক্ষার্থীকে সামান্য মারধর একটু গালমন্দ করা হয়েছে। পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ সঠিক নয়।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থী ইমনের বাবা আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে শিক্ষক মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ও মিনহাজ খন্দকারকে আসামি করে আগৈলঝাড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।