গৌরনদী
গৌরনদীতে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামে শুক্রবার দুপুরে স্কুল ছাত্রীর (১৬) বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে গৌরনদী ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিলেন। এ সময় বিয়ের প্যান্ডেল থেকে পালিয়ে গেল বরসহ তার স্বজনরা।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা ও চন্দ্রহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর (১৬) বিয়ে ঠিক হয় পাশ্ববর্তি উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালীহাটা গ্রামের খলিলুর রহমান খলিফার ছেলে এনামুল খলিফার (২৫) সঙ্গে। পারিবারিক সিদ্বান্তে শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য্য হলে দুপুরে ১ শত ২০ জন বরযাত্রী আসে কনের বাড়িতে। দুপুর ২টার দিকে কনের বাড়িতে হাজির হন গৌরনদী ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের বাবাকে আর্থিক (২ হাজার টাকা) জড়িমানা করেন এবং সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা আদায় করেন।
বাটাজোর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য রজাউল শেখ বলেন, কনের বাবাকে বাল্য বিয়ের আয়োজন বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল কিন্তু না শুনে বিয়ের আয়োজন করেন। বাল্য বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে কনের বাবা নুরুল হক হাওলাদার বলেন, আমার ভূল হয়েছে মেয়ের বিয়ে ঠিক করা উচিত হয়নি। গৌরনদী ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেণ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সব ধরনের কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে কোন ছাড় দেয়া হবে না। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও এলঅকাবাসিকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান।