গৌরনদী
উজিরপুরে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উত্তরপত্র লিখে দেয়ায় তিন শিক্ষকের জেল জড়িমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের হারতা স্কুল এ্যান্ড কলেজে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে সোমবার ইংরেজী পরীক্ষায় উত্তরপত্র লিখে কেন্দ্রে সরবারহ করার অভিযোগে তিন শিক্ষককে জেল জড়িমানা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষককে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই শিক্ষক জড়িমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পান। তিন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্রহতি দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, সোমবার জেএসসি শিক্ষার্থীদের ইংরেজী পরীক্ষা ছিল। কেন্দ্রেটিতে পরীক্ষা শুরু থেকে অবাধে নকল হওয়ার অভিযোগ উঠে। গতকাল সোমবার ইংরেজী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কক্ষের মধ্যে প্রশ্ন নিয়ে আলাতা খাতায় উত্তর লিখে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন কক্ষে সরবারহ করেন বিশারকান্দি হাইস্কুলের স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম, হারতা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক শিল্পী রানী সরকার ও চৌ-মোহনী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফিুজুর রহমান রহমান। পরীক্ষা কেন্দ্রে থেকে একাধিক শিক্ষক বিষয়টি গোপনে উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহাবুব উল্লাহ চৌধুরী জানান। পরে দুপুর ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মাহাবুব উল্লাহ চৌধুরী আকস্মীক পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে হাতে নাতে তিন শিক্ষককে ধরে ফেলেন এবং তাদেরকে আটকের জন্য পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযুক্ত তিন শিক্ষক নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন।
উজিরপুরের হারতা স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব বানী কান্ত মÐল বলেন, পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র খাতায় লিখে সরবারহ করার কথা সঠিক নয়। অভিযুক্ত শিক্ষকরা ছেলেদের নকলে সহায়তা করছিল। কেন্দ্র সচিবের বক্তব্য প্রত্যাখান করে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক বলেন, যে অভিযোগ তিন শিক্ষককে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা ওই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তিন শিক্ষক অভিযোগের দায় স্বীকার করেছে।
উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহাবুব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পাই অভিযুক্ত শিক্ষকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে সরবারহের জন্য আলাদা খাতায় উত্তর পত্র লিখছিল। ওই সময় প্রশ্ন ও উত্তরপত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
অভিযুক্ত বিশারকান্দি হাইস্কুলের স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল কালামকে ৭ দিনের কারাদÐ, হারতা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক শিল্পী রানী সরকার ও চৌ-মোহনী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফিুজুর রহমান রহমানকে ১০ হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়। কারাদন্ডপপ্রাপ্ত শিক্ষককে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া দুই শিক্ষক জড়িমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পান। তাদের তিনজনকেই পরীক্ষার দায়িত্ব তেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।