গৌরনদী
গৌরনদীতে কলেজ ছাত্রীকে অপহরনে মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বখাটের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ডিগ্রি কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক মুসলিম ছাত্রীকে (১৭) সংখ্যালঘু পরিবারের বখাটেপুত্র কর্তৃক অপহরণের ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে গৌরনদী মডেল থানায় এক কলেজশিক্ষকসহ ২ জনের নামোল্লেখ করে ৬ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রী অপহরনের ২৩ দিন পর অপহৃতার বাবা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
উপজেলার দক্ষিণ বাউরগাতি গ্রামের ব্যবসায়ী ও অপহৃতার বাবা জানান, মেয়ে অপহরনের পরে আত্মসম্মানের ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে অপহৃতার পরিবারের মাধ্যমে মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মামলা করার সিদ্বান্ত নেন। তিনি (বাদি) মামলার এজাহারের উল্লেখ করেন, তার মেয়ে গৌরনদীর বার্থী ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী (১৭)। কলেজে আসা যাওয়ার পথে গত এক বছর ধরে বার্থী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ললিত কুমার চন্দর বখাটে পুত্র দিপক কুমার চন্দ (২৩) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বখাটে দিপকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে সে (বখাটে) মেয়েকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণের হুমকি দেয়। বিষয়টি বখাটের বাবা ও বার্থী কলেজের গনিত সহকারী অধ্যাপক ললিত কুমার চন্দকে জানালে সে তার ছেলেকে নিয়ন্ত্রন না করে ছেলের বখাটেপনায় ইন্দন জোগায় এবং অপহরনে উৎসাহ দেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মেয়ে নিজ বাড়ি বাউরগাতি গ্রাম থেকে একই গ্রামের নিকট এক আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার পথে সরদার বাড়ির সামনে পৌছলে বখাটে দিপক কুমার চন্দের নেতৃত্বে ৪/৫ সন্ত্রাসী মেয়ের পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এজাহারভূক্ত আসামি বার্থী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ললিত কুমার চন্দ বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। আমাকে হয়রানী করতে আসামি করা হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা বাদি হয়ে বাথী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ললিত কুমার চন্দ ও তার ছেলে দিপক কুমার চন্দর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪ জনকে আসামি করে শুক্রবার গভীর রাতে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও অপহৃতাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।