গৌরনদী
গৌরনদীতে প্রবাসীর বাড়িতে দফায় দফায় হামলা ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী আবু রায়হানের বাড়িতে রোববার সকালে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কালু হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের (৪০) নেতৃত্বে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবাসীর পান বরজের পান চুরির সময় কালুর ফুফাতো ভাই সফেল সিকদারকে হাতে নাতে ধরে মারধর করায় এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় গতকাল রোববার গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, গৌরনদী খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের নুর ইসলাম হাওলাদার ছেলে রায়হান হাওলাদার প্রায় ৫/৬ বছর ধরে কাতারে থাকেন। গ্রামের বাড়িতে রায়হানের স্ত্রী আসমা আক্তার (২২), ছেলে আবির (৪), নোনদ খাঞ্জাপুর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনির ছাত্রী অথৈ (১৩) ও নোনদ পুত্র প্রতিবন্ধী জিতুকে (১০) নিয়ে বসবাস করেন। প্রবাসীর স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, তিনি বাড়ির পাশেই পান চাষ করে আসছেন। গত কয়েক মাস যাবত রাতে বরজের পান চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোরেরা। এ পর্যন্ত গত এক মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার পান চুরি হয়ে গেছে। অবশেষে চোর ধরার জন্য গত শনিবার রাতে তার ভাই আসাদ মৃধাসহ কয়েকজন পাহারা বসায়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কালু হাওলাদারের ভাগ্নে সফেল সিকদার (৩৫) তার সহযোগী পংকজ দাস (২০)সহ ৩/৪ জন চোর পান বরজে ঢুকে পান চুরি নিয়ে যাওয়ার সময় আসাদ মৃধাসহ পাহারার লোকজন চোরদের ধাওয়া করে । এ সময় ২/৩ জন চোরেরা পালিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগ সভাপতি কালু হাওলাদারের ভাগ্নে সফেল সিকদার হাতে নাতে ধরা পরে। খবর পেয়ে ওই রাতেই আওয়ামীলীগ নেতা কালু হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার (৪০) তার সমর্থকদের নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা করে চোর সফেল সিকদারকে ছাড়িয়ে নেন।
প্রবাসীর স্ত্রী আসমা অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আওয়ামীলীগ নেতার ভাগেরœ বিরুদ্ধে বদনাম ছড়ানোর অভিযোগে রোববার সকাল ৯টার দিকে আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী ধারাল অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা জানালা পিটিয়ে ও কুপিয়ে ভাঙচুর করে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় ঘরের মধ্যে থাকা নারী ও শিশুরা প্রান ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। আমরা ঘরে মধ্যে অবরুদ্ধ থাকায় তিন দফা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে থানায় পুলিশকে খবর দিলে তারা চলে যান। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারকে ফোন দিলে তিনি তা ধরেননি। তবে তার বাবা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কালু হাওলাদার বলেন, ভাগ্নে সফেল সিকদারকে চোরের অপবাদ দিয়ে মারধর করে বেধে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনা জানতে আমার ছেলে রাজ্জাক প্রবাসীর বাড়িতে গেলে তাকে গালাগাল করে। এ সময় ছেলে রাজ্জাক ঘর দরজায় কয়েকটা পিটানপাটান দেয়। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় প্রবাসীর শ্যালক আসাদ মৃধা বাদি হয়ে তিন জনের নামউল্লেখসহ ৬/৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।