গৌরনদী
গৌরনদীতে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ, আহত-৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/
এলাকায় অধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে শনিবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী বাজারে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা-পাল্টা হামলাসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি দোকান ভাংচুরসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহত ৩ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, এলাকায় অধিপত্য বিস্তার ও দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্জাহান প্যাদা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মকবুল সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। উভয়ের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় দুটি ধারা বিদ্যমান হওয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একাধিকবার সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে ইল্লা বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় এক ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মকবুল সরকারের সমর্থক সাব্বির হাওলাদারের (২২) সঙ্গে চেয়ারম্যান শাহজাহান প্যাদার সমর্থক মোঃ হিমেল প্যাদার (২০) হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ পর্যায়ে মকবুল সরকারের সমর্থকরা হিমেল প্যাদা ও ইমন সরদারকে মারধর করে।
এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন রাত ৭টার দিকে শাহজাহান প্যাদার সমর্থক হিমেল প্যাদার নেতৃত্বে ১০/১২ জন সমর্থক লাঠিসোটা ও রামদা, চাপাতি, ডেগারসহ দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। কিছুক্ষন পরে মকবুলের সমর্থকরা ইউপি চেয়ারম্যানকে শাহজাহান প্যাদার ওপর চড়াও হয়ে গালাগাল করে। এ খবর ছড়িয়ে পরলে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় চেয়ারম্যান শাহজাহানের সমর্থকরা বার্থী বাজারের মকবুল সরকারের সমর্থক কুদ্দুস বেপারীর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে সহদর মিজান বেপারীকে মারধর করে। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষে সাব্বির হাওলাদার (২২), মিজান বেপারী (৩৫), মোঃ হিমেল প্যদা (২০), ইমন সরদারসহ (১৯) ৫ জন আহত হয়। উভয় পক্ষের ৩ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতির্ করা হয়।
আওয়ামীলীগ নেতা মকবুল সরকার অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান প্যাদার মদদে তার ভাতিজা হিমেল প্যাদার নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আহত ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান প্যাদা বলেন, কুদ্দুস বেপারী নিজেই নিজের দোকান ভাঙচুর করে বন্ধ করে দেন। পরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মকবুল সরকারের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আমার দুই সমর্থককে গুরুতরভাবে আহত করেছে। গৌরনদী মডেল থানার থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এখনো কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।