বরিশাল
উজিরপুরে শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষিতর পরিবারকে ইউপি সদস্যের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামে মঙ্গলবার ১৩ বছরের এক কন্যা শিশুকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের রাকিব গাজী নামে এক বখাটে (১৮)। মূমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে বানরীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার রাতে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুর বাবা বাদি হয়ে বুধবার উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় লোকজন, নির্যাতিতার পরিবার ও পুলিশ জানান, উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামের হতদরিদ্র দিন মজুরের কন্যা (১৩) ঢাকায় বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। ঈদ উপলক্ষে বাবা মায়ের কাছে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পরে একই বাড়ির প্রভাবশালী জাফর গাজীর ছেলে রাকিব গাজী (১৮) মেয়েকে উত্যক্ত শুরু করে। নির্যাতিতার মা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মেয়েকে বসত ঘরে একাকি রেখে সে একই গ্রামের এনজিওর সমিতি ঘরে কিস্তি জমা দিতে যান। দুপুর ১২টার দিকে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে ঘরে না পেয়ে খোজাখুজি শুরু করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একই বাড়ির জাফর গাজীর একটি পরিত্যক্ত করে অসুস্থ্য অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বানরীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত দুই দিন ধরে সেখানে চিকিসাধীন রয়েছে। নির্যাতিতা শিশু (১৩) অভিযোগে জানান, মা কিস্তি দিতে গেলে সে একই বাড়ির রাকিব গাজী (১৮) তাকে কথা শোনতে ডাক দেয়। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ চেপে ঘরে মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে ।
শিশু কন্যার বাবা (৪৮) অভিযোগ করেন, ঘটনার পর গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার তাদের বাড়িতে এতে বিষয়টি থানা পুলিশসহ স্থানীয় কাউকে জানাতে নিষেধ করেন এবং নিষেধ অমান্য করলে খারাপ পরিনিতর ভয় দেখান। তিনি বলেন, হানিফ মেম্বরের হুমকি অমান্য করে গতকাল বুধবার থানায় লিখিত দেওয়ায় মেম্বর বাড়িতে আইয়া অভিযোগ ফেরত আনতে বলে । এ সময় মোরে সাশিয়ে যায়। মেম্বরের কথা না হোনলে মোগো এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার বলেন, আমি বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি কিন্তু মেয়ের পক্ষ রাজি না হওয়ায় মিমাংসা করা যায়নি। আমি কাউকে হুমকি দেইনি। উজিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। মামলা দায়ের প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।