সারাদেশ
রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক সুনাম বিনষ্ট করতে মহল বিশেষ চক্রান্ত চালাচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২১ ২২ মে ২০১৯ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক সমকাল, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক যুগান্তর ও বরিশাল থেকে প্রকাশিত স্থনীয় দৈনিক কীর্তন খোলা, দৈনিক ভোরের আলো, দৈনিক আজকাল, দৈনিক আজকের পরিবর্তন, দৈনিক আজকের বরিশাল, দৈনিক প্রথম সকাল, দৈনিক আমাদের বরিশালসহ বিভিন্ন প্রিণ্ট পত্রিকা অনলাইন পোর্টাল গৌরনদী২৪ ডটকম, সবুজ বাংলায় “ অস্ত্রের মুখে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকার চেক নিলো আওয়ামীলীগ নেতা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট । আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের প্রতি এলাকার সাধারন মানুষের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, সুনামের কারনে ঈর্ষান্বিত হয়ে মহল বিশেষ গনমাধ্যম কর্মিদের প্ররোচিত করে আমার ও আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্বে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রকাশিত সংবাদের শুরুতেই বলা হয়, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র গৌরনদীতে যোগদানের পর থেকে ভাইসচেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন. ফরহাদ মুন্সী বিভিন্ন সময় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছেড়া বস্তায় পচা চাল গুদামজাত করতে বাধ্য করিয়েছেন। ওই তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য হল খাদ্য কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র পাল গৌরনদীতে যোগদানের পর থেকে তার সঙ্গে আমার গভীর ও সু-সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। যে কারনে দুজনেই একে অপরের সহযোগী হিসেবে সমন্বয় রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছি। ছেড়া বস্তায় চাল গুদামজাত করতে বাধ্য করা তথ্য মিথ্যার বেসারতি ছাড়া কিছুই নয়। প্রকাশিত সংবাদটিতে উল্লেখিত তথ্য কাল্পনিক ও মনগড়া । সংবাদের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নেই।
সংবাদে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে সারা দেশব্যাপি আমন ধান সংগ্রহ চলছে। আমি তখন গৌরনদীতে চাল সংগ্রহে করে গুদামজাত করতে খাদ্য কর্মকর্তাকে চাপ প্রয়োগ করে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়েছি। এ কথা সঠিক নয় আমি তৃনমূল একজন আওয়ামীলীগ কর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়নে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংবাদে অবৈধ অস্ত্রের কথা বলা হয়েছে। গৌরনদীবাসীসহ স্থানীয় ও উর্ধতন প্রশাসনের কর্মকর্তারা সকলেই জানেন আমার নিরাপত্তার জন্য সরকার আমাকে একটি আগ্নেয় অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছে। যেই অস্ত্রটি সর্বদা আমার সঙ্গে থাকে। সেই বৈধ অস্ত্র নিয়েও মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। আমি প্রায় চার দশক ধরে সরকারি নীতিমালা অনুসরন করে সরকারি খাদ্য গুদামে সুনামের সঙ্গে চাল সরবারহ করে আসছি। আমি সরকারি গোডাউনে পূর্বে যে চাল সরবারহ করেছি ওই সরবারহকৃত চালের বিল বাবত উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমাকে স্বেচ্ছায় ৩৬ লাখ টাকার চেক প্রদান করেছে। সেই চেক দেয়া নিয়েও প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে।
প্রকৃত সত্য হল, আমার বাবা মরহুম অলহাজ্ব আব্দুল খালেক মুন্সী গৌরনদী তথা বরিশালের একজন সৎ, আদর্শবান প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। গত দেড় যুগ পূর্বে আমি আমার বাবার ব্যবসার দায়িত্বভার গ্রহন করি। আমি বাবার ব্যবসার দায়িত্বভার গ্রহনের পরে আমার মেধা, শ্রম ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাবার নীতি ও সততাকে ধারন করে আজকে এলাহী গ্রæপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ করেছি। সেখানে এলাকার হতদরিদ্র কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। আমার ব্যবাসায়ী সুনাম দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি জাতীয় ভাবে একজন তরুন সফল উদ্যোক্তার স্বীকৃতি লাভ করেছি। এতে কতিপয় বিশেষ মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ষরযন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিশেষ মহলটি আমার ব্যবসায়ী সফলতার ঈর্ষা পরায়ন হয়ে আমার ব্যবসায় কালীমাযুক্ত করতে পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানানভাবে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। একের পর এক বিভিন্ন ধরনের মনগড়া তথ্য প্রচার করা করেছে। আমার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষরা আমাকে জড়িয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবারহ করে সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করেছে। আরেকটি সত্য হল, আমি একজন ব্যবসায়ী ছিলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মুজিব আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দক্ষিনাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক, মাটি মানুষের নেতা, দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নের রুপকার, শান্তিচুক্তি প্রনেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাতকে শক্তিশালী করতে প্রায় দুই দশক ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রতি আমার আস্থা, রাজনীতিতে শ্রম ও আবুল হাসানাত আবদুল্লার স্্েরহধণ্য একজন কর্মী হিসেবে আমি গর্বিত। আমি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পরে হাসানাত ভাইর মনোনয়ন পেয়ে ইতিমধ্যেই আমি একাধিকবার ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দলের ও সাধারন মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। দলমত নির্বিশেষে সর্বমহলে জনপ্রিয় একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। দলকে শক্তিশালী করতে দলের জন্য সার্বক্ষনিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যে কারনে সদ্য ঘোষিত আওয়ামলিীগের পূনাঙ্গ কমিটিতে আমাকে যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার উত্তরোত্তর রাজনৈতিক সমৃদ্ধির কারনে আমার দলের মধ্যে কেউ কেউ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠেছে। ওই ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ষরযন্ত্রে লিপ্ত। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা তাদের পেশি শক্তি খাটিয়ে ষরযন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে তা সাংবাদিক ভাইদের মধ্যে সরবারহ করে সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করেছে। প্রকাশিত সংবাদটিতে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। প্রকাশিত সংবাদ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমি গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা নাসরিনসহ তদন্ত কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি তারা বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক ও সত্য তথ্য জাতির কাছে উপস্থাপন করবেন। সত্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষরযন্ত্রকারীর চেহারা সমাজে উম্মেচিত হবে।
মোঃ ফরহাদ হোসেন মুন্সী
উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান, গৌরনদী।
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও
ম্যানেজিং ডিরেক্টর এলাগ্রী গ্রæপ অব ইন্ডষ্ট্রিজ
গৌরনদী, বরিশাল।