গৌরনদী
মিথ্যা ও ষরযন্ত্রমূলক মামলায় প্রথম আলোর সাংবাদিক জহিরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ প্রকাশিত সংবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশীলী এক নেতা এক স্কুল ছাত্রীকে প্রভাবিত করে গত ৪ জুলাই দৈনিক প্রথম আলোর গৌরনদী প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহিরের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় শ্লীলতাহানি ও সম্মানহানির একটি মিথ্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. অসাদুজ্জামান খান আদালতে সাংবাদিক জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে বৃহস্পতিবার গৌরনদী আমলী আদালতের বিচারক মো. ইফতেখার আহম্মেদ অভিযোগপত্র গ্রহন করে মামলাটি বিচারিক আদালতে প্রেরন করেন।
গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার মো. অসাদুজ্জামান খান জানান, গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের নরসিংহলপট্রি গ্রামের চাঁন মিয়া সরদারের কন্যা রুপা আক্তার (১৯) প্রথম অলোর গৌরনদী প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম জহিরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭ সাংবাদিককে আসামি করে গত ৪ জুলাই গৌরনদী মডেল থানায় শ্লীলতা ও সম্মানহানির একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৭ মাস মামলাটির তদন্ত শেষে আসামি জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গৌরনদী আমলী আদালতে জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়। নির্দোশ প্রমানিত হওয়ায় ৭ আসামিকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্তে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক অভিযোগপত্র গ্রহন করে মামলাটি বিচারিক আদালতে প্রেরন করেন। আসামি জহুরুল ইসলাম জহির আদালতের স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।
প্রথম আলোর গৌরনদী প্রতিনিধি জহির অভিযোগ করে বলেন, বরিশালের গৌরনদী উপজেলা কমিটির এক ছাত্রলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষন ও ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আটকে রাখার খবর এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সর্বত্র আলোচিত হয়। ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতার প্রতিপক্ষ লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে দেয়। আমি সত্যতা যাচাই করতে ২৯ জুন ভিকটিমের বাড়িতে যাই। ভিকটিম ও তার পরিবার ঘটনার সত্যতা স্বীকার না করায় আমি কোন সংবাদ প্রকাশ করি নাই। অথচ আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যারা ফেইসবুক ও পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছে বাদি মামলায় তাদের আসামি করে নাই। এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অসাদুজ্জামান খান ঘটনায় জড়িতদের মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছে। সাম্প্রতি সময়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতার অনিয়ম, দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সন্ত্রাসের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় গৌরনদীর নব্য গডফাদার হিসেবে পরিচিত ওই আওয়ামীলীগ নেতা ক্ষিপ্ত হন। ওই নেতা আমাকে জব্দ ও হয়রানী করতে স্কুল ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া ও গৌরনদী রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গৌরনদীর সিনিয়র সাংবাদিক জহিরের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে । আমরা অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।