সারাদেশ
উৎকোচ না দেয়ায় তথ্য গোপন করে সনদ প্রদানের অভিযোগ দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকের দাবিকৃত উৎকোচের বিশ হাজার টাকা না দেয়ায় রোগীর চিকিৎসার তথ্য গেপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারন সনদ প্রদান করেছে বলে একটি অসহায় পরিবার অভিযোগ করেন। গতকাল শনিবার বরিশাল সিভিল সার্জনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন সবিতা রানী
পুলিশ জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলা বাকাল গ্রামের সুমন দাসের সঙ্গে একই গ্রামের দিপক দাসের দীর্ঘদিন ধরে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৪ নভেম্বর দিপক দাস বিরোধীয় জমির মূল্যবান গাছ কাটতে গেলে সুমন দাসসহ তাদের স্বজনরা বাধা দেন। এ নিয়ে সুমন দাসের সঙ্গে দিপক দাসের বাকবিতাÐার এক পর্যায়ে দিপক দাস ও তার সমর্থকরা সুমন দাস(২৭), ভাই তপন দাস(৩৫), অশোক দাস(৩০), মা মুকুল রানী দাস(৬৫) ভাবি অনিতা দাস(২৪), বোন সবিতা দাস(৩২) কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। তাদেরকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরের দিন এ ঘটনায় সুমনের ভাই গৌতম দাস বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সবিতা দাস অভিযোগ করেন, তারা আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ তানভীর আহম্মেদ ও ডাঃ বক্তিয়ার আল মামুনের অধীনে চিকিৎসা নেন। দুই চিকিৎসক শুরুতেই তাদের প্রতিপক্ষ দীপক দাসের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে অসুস্থ্য অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর রোগীর নাম কর্তৃন করে দেন। পরবর্তি অসুস্থ্য রোগীর নাম কর্তৃনের বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করলে চিকিৎসকদ্বয় নতুন করে ওই রোগী ভতির্ করেন। পরে রোগী সম্পূর্ন সুস্থ্য হলে গত ১৮ ডিসেম্বর রোগীর ছাড়পত্র দেন।
সবিতা দাস অভিযোগ করে বলেন, রোগীর ছাড়পত্র দেয়ার পরে আমি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ তানভীর আহম্মেদ ও ডাঃ বক্তিয়ার আল মামুনের কাছে চিকিৎসার সনদ চাইলে তারা দুই চিকিৎসক আমার কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি চিকিৎসকদের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় সনদ প্রদানে গড়িমসি করেন। আমার আর্থিক দুরাবস্থার কথা জানিয়ে অসহায়ের প্রতি সদয় হয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সঠিক সনদ দেয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করার পরেও তাদের মন গলেনি। আমি উৎকোচ না দেয়ায় এক পর্যায়ে আমাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে রোগীর গুরুতর জখম ও ক্ষতের কথা উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করে একটি সাধারন সনদ (সিম্পেল ইনজুরি) প্রদান করে। সঠিক সনদ না দেয়ায় আমরা পুলিশ ও আদালতে সঠিক বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হব। এ বিষয়ে গতকাল শনিবার বরিশাল সিভিল সার্জনের কাছে সবিতা রানী লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে চিকিৎসক বক্তিয়ার আল মামুনকে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন ধরেননি। ডাঃ তানভীর আহম্মেদ বলেন, সনদ মনপুত না হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। উৎকোচ দাবির অভিযোগ সত্য নয়। । এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিভিল সার্জন মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের কপি হাতে পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।