বরিশাল
একুশ বছরে সংস্কার নেই, অত্যাধিক ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র অধিনে নির্মিত বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের ৭৬নং দক্ষিণ শিহিপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুটি একুশ বছরেও সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ। সংস্কারের অভাবে সেতুটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীসহ সহ¯্রাধিক মানুষকে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান, এলজিইডি অধিদপ্তরে কাছে লিখিতভাবে অবহিত করার পরেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন, ভূক্তভোগী ও এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার দাসেরহাট পূর্বপাশ থেকে সেরাল নতুনহাট খালের গৈলা ইউনিয়নের ৭৬ নং দক্ষিণ শিহিপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বরিশাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থ বছরে স্বল্প ব্যায় প্রকল্পের অধিনে ৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ অঅয়রন ষ্ট্রাকচারের অঅরসিসি ঢালাইর একটি সেতু নির্মান করেন।
স্থানীয় লোকজন, এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা জানান, গত ২১ বছরে কর্তৃপক্ষ সেতুটি সংস্কারের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা করেনি। জনগুরুত্বপূর্ন সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন মাহেন্্রদ, অটোটেম্পু, ট্রলার টেম্পুসহ ছোট যানবাহন চলাচল করত। এ সেতু দিয়ে আগৈলঝাড়ার দক্ষিন শিহিপাশা, পতিহার ও সেরাল গ্রামের লোকজন উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন যাতায়াত করে থাকে। গৈলা ইউনিয়নের ৭৬নং দক্ষিণ শিহিপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াত করে। গত কয়েক বছর যাবত সেতুটি ভেঙ্গে ছোট যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম(৩০), মঞ্জিলা বেগম(২৮) ও কলেজ ছাত্র মনোয়ার হোসেন(২২) জানান, সেতুটি দিয়ে চলাচল অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। সেতুটির অবস্থা এতই খারাপ যে পায়ে চলাচল করতে গিয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকেই ভাঙ্গায় পড়ে পা ভেঙ্গে আহত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির রেলিং কয়েক বছর আগেই খুলে নিয়ে কে বা করা। সেতুর প্লটফর্মের ঢালাই খুলে পড়ে যাচ্ছে এবং রড বের হয়ে আছে। আয়রন স্ট্রাকচারের নাটবোল্ট ও ব্রাকেট ও এ্যাংগেল খুলে নিয়ে গেছে। শুধু খুটির ওপর দাড়িয়ে আছে সেতুটি। নিচের অংশে সেতু সু-রক্ষার টানা নেই। ফলে খুটির ওপর সেতুর ওজন নিয়ে দাড়িয়ে আছে। যে কোন সময় সেতুটি ধসে পড়তে পারে। গত একুশ বছরে সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় অধ্যাধিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ যাতায়াত করে থাকে। স্থানীয় হারুন হাওলাদার বলেন, আমরা বিষয়টি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান, এলজিইডি বিভাগে লিখিতভাবে অবহিত করেছি কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
৭৬নং দক্ষিণ শিহিপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্বেও প্রতিদিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। তাই অতিদ্রæত ব্রিজটি সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটে প্রানহানি হতে পারে । এ প্রসঙ্গে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মানুষের দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ব্রীজটি সর্ম্পকে আমরা অবগত আছি। যতদ্রæত সম্ভব ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে সেতু সেতু নির্মান করা হবে।