গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় পিতা হত্যায় পুত্রকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর কালীবাড়ি গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ি সাত্তার মোল্লা(৫০)কে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রথম স্ত্রীর একমাত্র পুত্র মো. রেজাউল করিম(২৮)। এ ঘটনায় পরের দিন নিহত সাত্তার মোল্লার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তার বাদি হয়ে সৎ পুত্রকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মোশারফ হোসেন মামলাটির দীর্ঘ পাঁচ মাস তদন্ত শেষে পুত্রকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার বিবরন ও পুলিশ জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর কালীবাড়ি গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ি সাত্তার মোল্লা(৫০) গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রতিদিনে মত দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তারকে নিয়ে ঘুমাতে যান। রাত ১০টার দিকে প্রথম স্ত্রীর একমাত্র পুত্র টাওয়ার শ্রমিক মো. রেজাউল করিম(২৮) বসত ঘরে গিয়ে কথা শোনার জন্য বাবা সাত্তার মোল্লাকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে যান। ব্যবসায়ী নিজ ঘরের বাইরে পৌছামাত্রই পুত্র রেজাউল তাকে ধারাল বগি দা দিয়ে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে।
এঘটনায় পরের দিন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তার বাদি হয়ে প্রথম ঘরের পুত্র রেজাউরকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৯ সেপ্টম্বর পুলিশ আসামি রেজাউলকে গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারাল দা উদ্ধার করেন। ওই দিন রেজাউলকে বরিশাল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুকের আদালতে হাজির করা হলে আসামি রেজাউল হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মোশারফ হোসেন জানান, মামলাটি পাঁচ মাসের তদন্তকালে ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ গ্রহন করা হয়। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দুই ফুট লম্বা বগি দা জব্দ করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আসামি রেজাউল নিজেই রিমাÐ ছাড়াই ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে ও ১৬৪ ধারার আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। হত্যার পর থেকে গ্রেপ্তারকৃত আসামি রেজাউল জেল হাজতে রয়েছে। ঘাতক পুত্র রেজাউল করিম(২৮)র বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মামলায় দ্রæত অগ্রগতি ও অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ায় বরিশাল জেলা পুুলিশের কল্যাণ সভায় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে ৫হাজার টাকা পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন ।