গৌরনদী
গৌরনদীতে দু‘গ্রæপ ছাত্রের মধ্যে সংঘষর্, দুই শিক্ষকসহ আহত-৭, আটক- ১
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ঈশ্বর চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই গ্রæপ ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন শিক্ষকসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। গুরুতর অহত সহকারী শিক্ষক কাজী মো. মেজবা উদ্দিনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রানী মÐলকে বাদি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশ জানান, চাঁদশী ঈশ্বর চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনির ছাত্র রাতুল খলিফা(১৫) বেশ কিছু দিন যাবত তার বহিরাগত বখাটে বন্ধুদের নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে বখাটেপনা ও স্কুল ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছিল। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির ছাত্র রিমন গাজী (১৬) গত বুধবার রাতুলকে তার বন্ধুদের নিয়ে স্কুলে আসতে নিষেধ করেন এতে রাতুল খলিফা ক্ষিপ্ত হন এবং দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
দশম শ্রেনির ছাত্র রিমন গাজী জানান, গতকাল বৃহস্পতিবা সকাল ১০টার দিকে নবম শ্রেনির ছাত্র রাতুল দুই বন্ধুকে নিয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তার সঙ্গে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাতুল তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সাধারন শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল সোয়া ১১টার দিকে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী রামদা, লাঠিসোটা ও রড নিয়ে কয়েকজন ছাত্রের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দুই শিক্ষকসহ ৭ জনকে পিটিয়ে আহত করেছ। আহতরা হলেন, সহকারী শিক্ষক কাজী মো. মেজবা উদ্দিন, তমাল চক্রবর্তি, ছাত্র রিমন গাজী, সাহাব হাওলাদার,
আহত সহকারী শিক্ষক কাজী মো. মেজবা উদ্দিন (৫২) অভিযোগ করে বলেন, সকালের ঘটনার জের ধরে নবম শ্রেনীর ছাত্র রাতুল খলিফা(১৫)র নেতৃত্বে তার সহযোগী বহিরাগত দক্ষিন চাঁদশী গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের পুত্র ফাহিম সরদার(১৬), সেকেন্দার মিয়ার পুত্র ইফতেখার(১৫), আবুল কাজীর পুত্র মাহিব কাজী(১৬) ও মো. আকবর হোসেনেরপুত্র জাহিদুল সরদার(১৫)সহ ১০/১২ জন বখাটে রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে দশম শ্রেনির ছাত্র রিমন কাজীর উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে (রিমন) রক্ষায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তমাল চক্রবর্তি এগিয়ে গেলে বখাটেরা তমালকে মারধর করে। শিক্ষক তমাল চক্রবর্তিকে মারধর শুরু করলে তাকে রক্ষায় আমি এগিয়ে যাই। এক পর্যায়ে বখাটেরা আমার উপর হামলা চালায় এবং পিটিয়ে জখম করেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আহত সহকারী শিক্ষক কাজী মো. মেজবা উদ্দিনকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রানী এ প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে ঘটনায় জড়িত নবম শ্রেনির ছাত্র রাতুল খলিফার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে নবম শ্রনির ছাত্র রাতুল খলিফার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় বহিরাগত মুলাদীর উপজেলার হৃদয় হোসেন(২০)কে আটক করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রানী বাদি হয়ে পাঁচ জনের নামউল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।