গৌরনদী
গৌরনদীতে দুই ব্যবসায়ী উপর কাউন্সিলরের হামলায় ঘটনায় মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় বরিশালের গৌরনদী পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খায়রুল খানের হামলায় টরকী বন্দরের দুই ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বাদি হয়ে কাউন্সিলর ও খায়রুল খানকে প্রধান আসামিসহ ১১ জনের নামউল্লেখ করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
গৌরনদীর টরকি বন্দরের ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন খান (৫৮) জানান, দক্ষিনাঞ্চলের বৃহৎ ব্যবসায়ী বন্দর টরকী। বন্দরের ব্যবসায়ীর সুবিধার্থে টরকী ট্রলার ঘাটের টোল আদায় মওকুফ করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক বছর যাবত ট্রলার ঘাটে ব্যবসায়ীদের মালামাল উঠানামায় কোন খাজনা তোলার নির্দেশনা নেই। পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে কাউন্সিলর খায়রুল খান লোক নিযুক্ত করে কিছুদিন যাবত চাঁদা আদায় করে আসছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার ফুফাত ভাই টরকি বন্দরের পান ব্যবসায়ী মোঃ আসাদুল্লাহ সরদারের (৪৫) ট্রলারে পান তুলছিলেন। এসময় ২নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. খায়রুল খানের নিযুক্ত সাহানাজ সরদার (৪৫) ও তার পুত্র ইউসুব সরদার (২০) তাদের কাছে খাজনা বাবত চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তাকে মারধর করেছে। এ খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌছ এর প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজ শাহনাজ ও ইউসুফ কাউন্সিলর খায়রুল খানকে খবর দেন। দুপুর দুইটার দিকে খায়রুল খান তার ৭/৮ সহযোগীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাঠের বাতা দিয়ে পিটিয়ে আমাকে জখম করেছে এবং আমার ব্যবসাী প্রতিষ্ঠানের মালামাল তছনছ করেছে।
ব্যবসায়ী আসাদুল্লাহ সরদার অভিযোগ করে বলেন, বিকেল ৪টায় গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন পুলিশ নিয় ঘটনাস্থলে পৌছে আমার কাছে ঘটনা জানতে চান আমি ঘটনা ওসির কাছে ঘটনা বলতে শুরু করলে ওসির সামনে যুবলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর খায়রুল খান দ্বিতীয় দফায় আমার উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং আমার সামনের দুটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে। আহত দুই ব্যবসায়ীকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
টরকী বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রলার ঘাটের কাজনা মওকুফ করা সত্বে কাউন্সিলর খায়রুল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক মাস যাবত প্রতি মাসে জোরপূর্বক লক্ষা লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউন্সিলর মো. খায়রুল খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনে মিমাংসা করতে গিয়েছি। হামলায় আমি জড়িত ছিলাম না এবং চাঁদা তুলতে আমি কাউকে নিয়োগ করি নাই। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বাদি হয়ে কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা খায়রুল খানকে প্রধান আসামিসহ ১১ জনের নামউল্লেখ করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।