গৌরনদী
গৌরনদীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নিযার্তন করে হত্যা অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু ও এক সন্তানের জননী কোহিনুর বেগমকে (২৫) শ্বশুড় বাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে নিযার্তনকারী মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপ-প্রচার চালায়। এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসি ও পুলিশ জানান, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা গ্রামের নুরুল ইসলাম কাজীর কন্যা কোহিনুর বেগমের সাথে ৮ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের এসকেন মেলকারের পুত্র সোহাগ মোল্লার সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে সিয়াম মেলকার নামে ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহত কোহিনুর বেগমের পিতা নুরুল ইসলাম কাজী অভিযোগ করেন, গত দুই বছর পূর্বে তার মেয়ে জামাতা সোহাগ মেলকার ওম্যান যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করে। পরবর্তীতে সোহাগ তার কাছে দেড় লক্ষ টাকা বিদেশ যাওয়ার জন্য চায়। নুরুল ইসলাম তার মেয়ে-জামাতার ভভিৎতের কথা চিন্তা করে প্রতিবেশীর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা সুদে এনে সোহাগকে দেন। বর্তমানে দেড় লক্ষ টাকায় প্রায় আরো ১ লক্ষ টাকা সুদ হয়েছে। ঈদুল আযাহার পরে কোহিনুর বেগমের শ্বশুড় বাড়ির লোকজনকে নরুল ইসলাম তার বাড়িতে নিমণÍ্রণ করেন। খাওয়ার পর সোহাগ বিদেশ যাওয়ার সময় দেয়া দেড় লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য তাদের অনুরোধ করেন। এ সময় কোহিনুরের শ্বশুড় এসকেন মেলকাল, ভাসুর আমির মেলকার, দেবর মিলন মেলকার, ভাসুরের ছেলে রাসেল মেলকারসহ অন্যান্য আত্মীয়রা টাকা ফেরত দিয়ে অপ্রগতা প্রকাশ করেন। এর পর থেকে তারা কোহিনুরকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালায়। সর্বশেষ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারীরিক নির্যাতন করে । এক পর্যায়ে কোহিনুর মৃত্যু’র কোলে ঢোলে পরে। এ সময় নর্যাতনকারীরা মুখে বিষ দিয়ে বাড়ি থেকে গা-ঢাকা দেয়। রাত ১০টার দিতে কোহিনুরের পিতা-মাতা ও ভাইরা খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে কোহিনুরের লাশ দেখে গৌরনদী থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল মর্গে প্রেরন করেন। গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় থানায় অপ-মৃত্য’র মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।