গৌরনদী
গৌরনদীতে কিশোরী ধর্ষন, ডিএনএ পরীক্ষার কথা শুনে যুবক পলাতক
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ গৌরনদীর দক্ষিন বিজয়পুর গ্রামে কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ধর্ষনের অভিযেগে তালেব নামে এক বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠান। বৃদ্ধ তালেব প্রায় দেড় মাস যাবত হাজত রয়েছে। আদালত ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিলে দক্ষিন বিজয়পুর গ্রামের যুবক ইউনুস ঘরামী আত্মগোপন করেছে। এদিকে হাজতে থাকা বৃদ্ধ তালেব সরদারের পরিবারের দাবি তালেব নির্দোশ তাকে ষরযন্ত্র করে মামলায় আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত ধর্ষক ইউনুস ঘরামী। ইউনুস ঘরামীকে গ্রেপ্তার করে ডিএন পরীক্ষা করলেই প্রকৃত ধর্ষক শনাক্ত হত।
মামলার, বিবরন,ধর্ষিতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিন বিজয়পুর গ্রামে কিশোরী কন্য (১৪) দক্ষিন বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনি পর্যন্ত পড়াশোনা করে আর্থিক অনাটনে পড়াশোনা বন্ধ করে নিজ বাড়িতে থাকেন। জীবিকার তাগিতে কিশোরীর বাবা ও তার মা কাজে থাকায় মেয়ে বাড়িতে একাকি থাকতেন। ধর্ষিত কিশোরীর পিতার সঙ্গে একই গ্রামের বৃদ্ধ তালেব সরদার(৬৫)র জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ৪ জুলাই কিশোরী কন্য হঠাৎ পেটের ব্যাথায় ডাক চিৎকার শুরু করলে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি শেষে চিকিৎসক জানান, কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্বা। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ তালেব সরদার(৬৫)কে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ তালেবকে গ্রেপ্তার করলে গত প্রায় দেড় মাস ধরে সে জেল হাজতে রয়েছে।
হাজতে থাকা বৃদ্ধ তালেবের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ধর্ষিতার পিতার সঙ্গে তার স্বামীর জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তার প্রতিপক্ষ মেয়ের ধর্ষনের ঘটনাটি প্রকৃত ধর্ষককে মামলায় আসামি না করে আমার ৭০ বছরের স্বামীকে জব্দ করতে আসামি করেছে। প্রকৃত ধর্ষক ইউনুস ঘরামী এলঅকায় ঘুরে বেড়ায়। কিন্ত আদালত যখন ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ সেই থেকে ইউনুস ঘরামী পলাতক রয়েছে। তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে স্বামী তালেবের পাশাপাশি প্রকৃত ধর্ষক ইউনুস ঘরামীকে গ্রেপ্তার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন ও গ্রামবাসী ইউনুস ঘরামীর আত্মগোপনে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনুস ঘরামীকে গ্রেপ্তার করে ডিএন পরীক্ষা করলে প্রকৃত ধর্ষক শনাক্ত হবে।