গৌরনদী
গৌরনদীতে অসহায় ভিক্ষুকর সহায় সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ
গৌরনদী উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কুনিয়াকান্দি গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র বৃদ্ধ ভিক্ষুক আব্দুল হক মাতুব্বরের ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সহায় সম্পত্তি জবরদখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী চাচাতো বোন ও বোনের ছেলেরা। নিরুপায় ওই বৃদ্ধ ভিক্ষুক তার সহায় সম্পত্তির জবরদখল মুক্ত করায় এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
হতদরিদ্র বৃদ্ধ ভিক্ষুক আব্দুল হক মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, আমার হতদরিদ্র বাবা মৃত নোয়াব আলী মাতুব্বরের আমি একমাত্র ছেলে। আমার বাপ চাচারা ছিল তিন ভাই। উপজেলার এসএ রেকর্ডীয় জেএল ৫নং কুনিয়াকান্দি মৌজায় আমার দাদা মৃত মফিজ উদ্দিন মাতুব্বরের রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে আমি মোট ৩৭ শতাংশ সম্পত্তি পাবো। এ ছাড়া ওই মৌজায় আমার নিজের ক্রয়কৃত ১৮ শতক সম্পত্তি রয়েছে। সব মিলে আমি মোট ৫৫ শতক সম্পত্তির মালিক। ওই সম্পত্তির মাত্র ৩২শতক আমি ভোগ দখলে আছি। বাকি ২৩ শতক সম্পত্তি আমাকে ভোগ করতে দিচ্ছেনা। সম্পত্তি লোভী চাচাতো বোন কুলসুম বিবি ও তার দুই ছেলে রেজাউল চৌকিদার ও মোজাম্মেল ওরফে মুজাম চৌকিদার ওই সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে। ওরা সেটেলমেন্ট জরিপের সময়েও কারসাজির মাধ্যমে আমাকে সম্পত্তির রেকর্ড থেকে বঞ্চিত করেছে।
ভূক্তভোগী হতদরিদ্র বৃদ্ধ ভিক্ষুক আব্দুল হক মাতুব্বরে অভিযোগ অস্বীকার করে খাঞ্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাত বলেন, ত্রিশ বছর পূর্বে এক শালিশ বৈঠকে ওই সম্পত্তি এ্যাওজ বন্টনের মাধ্যমে উভয়পক্ষ ভোগ দখল করে আসছে। এখন রেজাউলদের দখলীয় সম্পত্তিতে বড়বড় গাছ হওয়ায় ওই সম্পত্তির ওপর আব্দুল হকের নজর পড়েছে। সে পুরানো এ্যাওজ বন্টন মানছেনা। তবে তিনি এও বলেন, ওই এ্যাওজ বন্টনটি ছিল মৌখিক। ফলে এর কোন দালিলিক প্রমান নেই। তাই আব্দুল হক রেকর্ড অনুযায়ী তার সম্পত্তি চাইতেই পারে।
হতদরিদ্র বৃদ্ধ ভিক্ষুক আব্দুল হক মাতুব্বর বলেন, আমি লেখাপড়া জানিনা। ফলে জমিজমার হিসাবও বুঝতাম না। কোন এ্যাওজ বন্টন আমি কখনো করিনি। ওরা গায়ের জোরে আমার সম্পত্তি জবর দখল করে ভোগ করছে। ওই সম্পত্তি লোভীদের কারনে এখন এই বৃদ্ধ বয়সে এসে আমাকে আমার একমাত্র বাকপ্রতিবন্দি ছেলে ও বিধবা মেয়েকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন কাটাতে হচ্ছে। ওই সম্পত্তির জন্য ওরা অসংখ্য রাব আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েকে মারধর করেছে। এখনও হুমকী দিয়ে যাচ্ছে যে, আমি বেশী বাড়াবাড়ি করলে আমাকে ও আমার বিধবা মেয়ে জুলেখা বেগমকে মেরে ফেলবে। আমি এর বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানাই তিনি যেন আমার প্রতি একটু সদয় হন।