গৌরনদী
গৌরনদীতে বিএনপির নেতা ও ভাইর বাড়ি আগুনে সম্পূর্ন ভস্মীভূত, ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি, আহত-১০
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে বার্থী ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম খানের বাড়িতে গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করেছে অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তরা। আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িটি পুড়িয়ে দিয়ে আমাকে নিঃশ্ব করা হয়েছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩৫ লাখ লাখ টাকা, আহত-১০।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও গৌরনদী উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম খান রামসিদ্ধি গ্রামে তার পৈত্রিক ভিটায় গত ৩০ বছর ধরে সাল সেগুন কাট দিয়ে দোতালা ঘর তৈরী করে মা, স্ত্রী পুত্র পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে তিনি বার্থী ইউনিয়নের বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।
আবুল কালাম খান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘরের সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত পোনে ৪টার দিকে ঘরের দোতালায় কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে ঘরের চালে আগুন দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেন। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ঘরের নিচের অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
আবুল কালাম খান অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার প্রতিপক্ষরা পরিকল্পীতভাবে আমার ঘরে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি শুধু পরিবারে সদস্যদের প্রান নিয়ে পরনের এক কাঁপড়ে বেঁচেছি। নির্বাচনে অংশ নেওয়াই আমার জন্য কাল হল, আজ পথের ফকির হয়ে গেছি।
প্রতদ্যক্ষদর্শীরা মো. মনির গাজী(৩৬), জিয়া ফকির(৪০) ইয়াজুল হাওলাদার(২৬) জানান, তারা ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হন এবং গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে খবর দেন। গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের ষ্ঠেশন ইনচার্জ অধীর কুমার হালদার জানান, তারা রাত সাড়ে ৪টায় ঘটনাস্থলে পৌছে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার পূর্বেই আবুল কালাম খান ও তার সহোদর হেদায়েত হোসেনের দুটি ঘর সম্পূর্ন ভস্মীভূত হয়। আগুনে ও আগুন নেভাতে গিয়ে আবুল কালাম খানের মা ফুলজান বিবি(৮২), স্ত্রী মমতাজ বেগম(৪৫), ভাই হেদায়েত হোসেন(৪৫), স্ত্রী সিমু বেগম(৩৫), হিমু খান(২৫), প্রতিবেশী অখেল খান (৫৫), সিরাজুল ইসলাম সরদার(৫৫)নাসির মুন্সী(৩৫)সহ ১০ জন আহত হয়। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩৫ লাখ টাকা। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, বিএনপি নেতা দাবি করতেই পারে, ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সকসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।