গৌরনদী
আতঙ্ক উৎকণ্ঠাই সত্যি হল, কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী , উজিরপুর ও আগৈলঝাড়ার ১৭টি ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীদে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠাই সত্যি হল। নির্বচনের পূর্বে তারা শঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেও কোন ব্যবস্থা নেননি। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনে সকল ভোট কেন্দ্রই বাধাহীনভাবে দখল করে নেন সরকারদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মিরা। বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ তাদের এজেণ্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে ভোটার, প্রার্থী ও সংশ্লিণ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোট শুরুর সাথে সাথে সরকারদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কেন্দ্র দখল করে নেন। তারা বিরোধীদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেণ্টদের মারধর করে বের করে। প্রতিবাদে গৌরনদী, অগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলার ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করার ঘোষনা দেন।
খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আকন সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আ,লীগ প্রার্থী ও তার সমর্থক আমার প্রচারনায় বাধা ও হুমকি ধামকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা ওপেন ব্যালটে ভোট নেওয়ার হুমকি দিলে নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানো হয় কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
চাদশী ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যা প্রার্থী তাইফুর রহমান বলেন, আমাকে ভোট গ্রহনের পূর্বেই কেন্দ্র দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মিরা। ভোটের দিন সকল কেন্দ্র দখল করে নিয়ে আমার ভোটারদের বের করে দিয়ে ব্যালটে ইচ্ছামত সিল দিয়ে নির্বাচন শেষ করল।
আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়ননের আ.লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্তী লাবন্য আক্তার বলেন, আমাকে হুমকি দিয়েছিল ভোটের দিন মাঠে থাকতে দিবে না এবং কেন্দ্র দখল করে নিবে। াামি প্রধান নির্বাজন কমিশনে অবগত করেছিলাম কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। নির্বাচন নিয়ে আমার উদকণ্ঠাই সত্যি হল। উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যানপ্রার্থী আ. মতিন নান্টু বলেন, আমি সুষ্ঠ ভোট গ্রহন নিয়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় ছিলাম, আজ তাই সত্যি হল। গৌরনদী আগৈলঝাড়া ও
গৌরনদীর আ. লীগ প্রার্থী ফারুক মোল্লা, আব্দুর রব হাওলাদার, আগৈলঝাড়ার বিপুল দাস, বাবুল ভাট্রি ও উজিরপুর উপজেলার হরেন রায়, ইউসুফ আলীসহ ১৭টি ইউনিয়নের আ.লীগ প্রার্থীরা বলেন, বিএনপির নেতারা সন্ত্রাস করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সেই দূর্বলতাই তাদের মধ্যে পরাজিত হওয়ার আতঙ্ক ছিল। আমাদের হুমকি কোন আতঙ্ক ছিল না।