গৌরনদী
গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান উপনির্বাচন ॥ শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহন, বিপুল ভোটে নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিজয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপনির্বাচনে গতকাল সোমবার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ৪৫টি ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠ-অবাধ ও শান্তিপূর্নভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। কোথায়ও কোন অপ্রীতিকর খবর পাওয় যায়নি। কোন কেন্দ্রেই বিএনপির কোন এজেণ্ট ছিল না। বিএনপি প্রার্থী তার এজেণ্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করলেও স্থানীয়রা জানান বিএনপির প্রার্থী কোন এজেণ্ট দিতে পারেননি। বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী জয় লাভ করেছে। উপজেলা ১ লক্ষ ৪১ হাজার ২শত ৯৬ ভোটের মধ্যে নৌকা মাকায় পেয়েছে ৯৮ হাজার ৯শত ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর হোসেন মিলন পেয়েছে ২ হাজার ৭শত ৮৩ভোট।
সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। কোন কেন্দ্রে বিএনপির কোন এজেণ্ট পাওয়া যায়নি। বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ তার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের দেওয়া হয়েছে এবং তার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ৪৫ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে উপজেলার প্রায় সকল কেন্দ্রেই নির্বাচনী উৎসবমুখর আমেজে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী এস,এম, মঞ্জুর হোসেন মিলন নিজ বাড়ি সংলগ্ন কুরিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। ওই কেন্দ্রে ভিতরে প্রবেশ করে ৫টি বুথের কোনটিতে ধানের শীষের কোন এজেণ্ট পাওয়া যায়নি। বিএনপির প্রার্থী মিলন সরিকল ইউনিয়ননের বাসিন্দা ও একাধিকবার চেয়ারম্যান হওয়া সত্বেও নিজ এলাকা সরিকলে কোথাও তার ভোটার বা কর্মি ছিল না। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ঘুরে বিএনপির কোন এজেণ্ট বা ভোটার বা কর্মিদের দেখা পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, কোন কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী এজেণ্ট দিতে পারেনি। বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী এস,এম, মঞ্জুর হোসেন মিলন জানান, তিনি ৪৫টি কেন্দ্রেই এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন। রবিবার রাতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এজেণ্টদের জীবন নাশের হুমকি দেওয়ায় অনেকেই দায়িত্ব পালন করতে যাননি। যারা এজেণ্টে হিসেবে কেন্দ্রে গেছে তাদেরকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। মিলনের অভিযোগ প্রত্যাখান করে সাধারন ভোটাররা বলেন, কোন সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপি প্রার্থী মিলন ভোটের আগে কোন প্রচারনা অংশ নেননি। কোথাও কোন পোষ্টার দেননি। একদিনের জন্য এলাকায় আসেননি। এমন কি নিজের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্মিদের নির্বাচনী মাঠে নামাতে পারেননি।
আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহা মেরী বলেন, বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুর হোসেন নিজে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বেশামাল কথা বলছে এবং মিথ্যাচার করছে। তার সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য বিএনপির নেতা কর্মিরা তাকে (মিলনকে) বর্জন করেছে, ভোট দেয়নি। মানুষ শান্তির পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছে। গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন হাওলাদার বলেন, আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থী মিলন অপপ্রচার করছে। সাধারন ভোটাররা স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট প্রদান করেছে। কোন কেন্দ্রেই কারচুপি এবং কেন্দ্র দখলের ঘটনা নাই। গোটা উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী মিলন ছাড়া তার কোন কর্মি সমর্থক ছিল না। তাই মিলন অবান্তর অভিযোগ করেছে। নিজের ব্যর্থতাকে ঢাকতে অন্যের ঘারে দোষ চাপাচ্ছে।
আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহা মেরী আরো বলেন, বর্তমান গনতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে সাধারন মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিেেছ। বরিশাল -১ আসনের সংসদস্য সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবুদল্লাহ নেতৃত্বে আমি গৌরনদী উপজেলাবাসীর প্রয়োজন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।