গৌরনদী
মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করায় ॥ বাটাজোর উল্লাস সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর-লুট আহত ৭
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ গৌরনদীর বাটাজোর উল্লাস সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি খলিরুর রহমানের আটক গ্রামে স্থানীয় কতিপয় বখাটে যুবক গাঁজা, ইয়াবা ও ফেন্সিডিল ব্যবসা শুরু করে। এতে গ্রামের যুব ও ছাত্রসমাজ দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। মাদক বিক্রি ও সেবন করতে নিষেধ করায় গত বুধবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী ও তার সহযোগী সেবনকারীরা বাটাজোর উল্লাস সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক শেখ খলিলুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। এ সময় হামলায় ৭ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ জানান, উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের আটক গ্রামের কালাম ফকিরের পুত্র আজিজুল ফকির(২২) তার সহোদর কাজল ফকির(২০) এলাকায় গাঁজা, ইয়াবা ও ফেন্সিডিল ব্যবসা শুরু করে। আটক গ্রামের মো. রানা মোল্লা, হেনা বেগম জানান, দুই তিন মাস ধরে যুবকরা মাদক ব্যবসা শুরু করলে গ্রামের অনেক যুবক ও ছাত্র নতুন করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, উল্লাস সাহিত্য সমাজ ও উল্লাস সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি শেখ খলিলুর রহমান গত মঙ্গলবার বিকেলে মাদক ব্যবসায়ী আজিজুল ফকির ও কাজল ফকিরকে ডেকে বুঝিয়ে সুজিয়ে মাদক বিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন নতুবা ক্ষতির হবে বলে সাশিয়ে দেন। এতে মাদকাসক্ত বখাটে ও বিক্রেতারা ক্ষিপ্ত হন।
কবি শেখ খলিলুর রহমান জানান, মাদক বিক্রি ও সেবন করতে নিষেধ করার জের ধরে বুধবার রাত রাত সাড়ে ৭টার দিকে আজিজুল ফকির(২২), সহোদর কাজল ফকির(২০) সহযোগী মো. সজল ফকির(১৮)সহ ৭/৮ জন বখাটে তার বাড়িতে লাঠি সোটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বসত ঘর ভাঙচুর করে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আসবাবপত্র তছনছ করে। এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে জখম করেছে । খলিলের বড় ভাবি, ৯ মাসের অন্তঃসত্তা ফিরোজা বেগম (৩০) অভিযোগ করে বলেন, খলিলকে এলোপাতারি পেটাতে থাকলে আমি তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকে পিটিয়ে জখম করে এবং পেটে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এ ছাড়া সন্ত্রাসীরা আমার ভাসুর জব্বার শেখ(৪৫), জা বিলকিস বেগম(৩৫), শাশুড়ি শাহারা খাতুন (৭০), দেবর জলিল শেখ (৩২) প্রতিবেশী হেনা বেগমসহ ৭ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে। হামলাকারীরা নগত টাকা, স্বর্নালংকারসহ দেড় লক্ষধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। আহতদের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাদক বিক্রির কথা অস্বীকার করে আজিজুল ফকির ও কাজল ফকির বলেন, পূর্ব শত্রতার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে কিন্তু ভাঙচৃর লুটের অভিযোগ সত্য নয়। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শেখ খলিলুর রহমান বাদি হয়ে আজিজুল ফকির(২২), কাজল ফকির(২০), মো. আবুল কালাম(৪২), মো. সজল ফকির(১৮)সহ ৭/৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।