গৌরনদী
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গৌরনদীতে চার ডাকাত গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ড থেকে আটক চার আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ৪ ডাকাতের বিরুদ্ধে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওইদিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, সরঞ্জামাদিসহ চার ডাকাতকে বাটাজোর বাসষ্টান্ড থেকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত ডাকাতরা হল গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের খানাবাড়ি গ্রামের মালেক জমাদ্দারের ছেলে হৃদয় জমাদ্দার ও তার ভাই তারেক জমাদ্দার, পিরোজপুরের নেছারাবাদ এলাকার বাবুল শরীফের ছেলে তসলিম শরীফ এবং বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী এলাকার আনন্দ মন্ডলের ছেলে অশোক মন্ডল।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে একটি সিএনজিতে চার যুবককে দেখে বাটাজোর বন্দরের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টাকালে তারা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ধাওয়া করে ওই সিএনজির চালকসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ৪ ডাকাত বাটাজোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয়রা ওই চার ডাকাতকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি দেশীয় ধারালো রাম দা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত তারেক জমাদ্দারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি, তসলিম শরীফের বিরুদ্ধে দুইটি ও অশোক মন্ডলের বিরুদ্ধে ১টিসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন-রাতে খবরপেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ পৌঁছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে চার ডাকাতকে উদ্ধার করে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


