বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় তীব্র তাপদাহের মধ্যেও গ্রাহকের কাছে পত্রিকা পৌঁছে দিচ্ছে হকাররা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৈশাখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপদাহ। সড়কের শক্ত পিচ গলে হয়েছে নরম। প্রচন্ড রৌদ্রের তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতেও সড়কে নিস্তার নেই পত্রিকার হকারদের। রৌদ্রের খরতাপেও দায়িত্ব নিয়ে গ্রাহকের কাছে পত্রিকা পৌঁছে দিচ্ছে হকাররা।
তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে প্রতিদিন ফজরের নামাজের আগেই আগৈলঝাড়ার পত্রিকার হকাররা গৌরনদী উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পত্রিকার অপেক্ষায় বসে থাকে। পরে ঢাকা ও বরিশাল থেকে আসা পত্রিকাগুলো দায়িত্ব নিয়ে সারাদিন প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে দিয়ে বাইসাইকেল ও ভ্যান গাড়ি যোগে গ্রাহকের কাছে পত্রিকা পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতেও উত্তপ্ত পিচঢালা সড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের।
হকার সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সকালে সূর্য ওঠার আগে থেকেই আমাদের প্রতিনিয়ত ঢাকা থেকে আসা পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। পরে পত্রিকা গুলো আসলে সেই গুলো আমি ভ্যান গাড়িতে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গ্রাহকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দিচ্ছি। তীব্র গরমে দায়িত্ব পালনে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও এরপর থেকে শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। রোদে দাঁড়িয়ে গ্রাহকের কাছে পত্রিকা বিক্রি করা অত্যন্ত কষ্টের হয়ে যায়। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে জীবিকা নির্বাহের জন্য এই প্রচন্ড তাপদহের মধ্যেও পত্রিকা বিক্রির জন্য রাস্তায় বের হতে হয় প্রতিনিয়ত।
আরেক হকার ছগির সিকদার বলেন, সব জায়গায় যতটা তাপ অনুভব করি, সড়কে তার চেয়ে অনেক বেশি অনুভূত হয়। সড়কে প্রচন্ড তাপদহ তারপরও আমি বাইসাইকেল নিয়ে গ্রাহকের কাছে প্রতিনিয়ত পত্রিকা পৌঁছে দিচ্ছি।
তবে আমাদের জন্য একটু ঠান্ডা পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা থাকলে খুব ভালো হতো। এতো রোদের মধ্যে কষ্ট করে সড়কে সাইকেল চালিয়ে পত্রিকা বিক্রি করলেও আজ পর্যন্ত আমাদের জন্য পানি কিংবা খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়নি। আমরা সুযোগ পেলে আশপাশের দোকান থেকে পানি পান করি। দোকানের খাবার পানিও সবসময় গরম হয়ে থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন তাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সরাসরি রোদের মধ্যে কাজ করলে মাথায় ক্যাপ অথবা ছাতা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। পাতলা সুতি কাপড় পরত হবে। ছায়াযুক্ত স্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারলে ভালো হয়।