গৌরনদী
নিখোজ চার কিশোরী উদ্ধারের ঘটনায় অপহরন মামলা, গ্রেপ্তার-২
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকা থেকে একইদিনে তিন স্কুল ছাত্রীসহ চারজন কিশোরী নিখোঁজের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে চার কিশোরীকে ম উদ্ধার করেছে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের বাঘার গ্রামের নগেন দেওয়ানের ছেলে বরিশাল সরকারী হাতেম আলী কলেজের ছাত্র হৃদয় দেওয়ান (১৯) ও তার সহযোগি বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠী গ্রামের সুশান্ত মন্ডলের ছেলে তুর্য মন্ডলকে (১৯) শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর একসাথে চার কিশোরী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। ওইদিন (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক কিশোরীর পালিত বাবা ও মাকে অপর নিখোঁজ ছাত্রীদের অভিভাবকরা পাচারকারী সন্দেহে আটক করে রাত বারোটার দিকে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল শহর থেকে নিখোঁজ তিন ছাত্রীসহ চার কিশোরীকে উদ্ধারসহ হৃদয় দেওয়ান ও তুর্য মন্ডলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্রীর বাবা বাটাজোর গ্রামের বাদশা হাওলাদার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, তার মেয়েসহ চার কিমোরী হৃদয় দেওয়ান ও তুর্য মন্ডলসহ তাদের ২/৩ জন সহযোগিরা অপহরণ করে মাহেন্দ্রাযোগে নিয়ে যায়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত কিশোরীদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বরিশাল সরকারী হাতেম আলী কলেজের ছাত্র হৃদয় দেওয়ান (১৯) ও তার সহযোগি বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠী গ্রামের সুশান্ত মন্ডলের ছেলে তুর্য মন্ডলকে (১৯) শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।