গৌরনদী
আদালত চত্বরে যুবলীগ নেতাকর্মীর হামলার শিকার গৌরনদীর দুই ছাত্রদল নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে লিফটে নিচতলার পৌছার সাথে সাথে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী হামলা চালিয়ে দুই ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে আহত ও এক বিএনপি নেতাকে লাঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বরিশাল জজ আদালতে একটি বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে যান বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল আমিনসহ ১০/১২ জন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের সাথে ছিল গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ রাসেল ও সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান। দুপুর ১২টার দিকে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে লিফট দিয়ে নিচ তলায় পৌছার সঙ্গে সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল আমিন, গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান শরীফসহ তিন জনকে আহত করেছে।
আহত গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান শরীফ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ নেতাকর্মীরা হাজিরা দিয়ে বের হয়ে আদালতের নিচ তলায় পৌছলে গৌরনদী পৌর যুবলীগের সদস্য রায়হান ফকির (২৮), কাওছার ফকির (২৯) ও শিবলী (৩২) আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাকে ও ছাত্রদল নেতা আল আমিন ও রাসেলকে মারধর করে। এ সময় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম আমাদের রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে আদালত পুলিশ এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সটকে পড়ে। বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করেছে । সেই মামলার হাজিরা দিতে এসে পুনরায় যুবলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের উপর আদালতে হামলা করেছে। আদালতেও আমাদের নিরাপত্তা নাই। আমরা আদালতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান ও এ্যাডঃ গাজী কামরুল ইসলাম সজল। তারা বলেন, দেশের আইন শৃংথলা পরিস্তিতি এমনই পর্যায়ে পৌছেছে যে, আদালতে মানুষের নিরাপত্তা নাই। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সর্বত্র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আদালত পাড়ায় হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা ও হামলাকীরের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ফোন করলে মোঃ রায়হান ফকির ও মোঃ কাওছার ফকিরের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মোঃ শিবলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নাই।