গৌরনদী
দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে গৌরনদীর দশ পুলিশ সদস্যসহ ১৪ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাত্রী কালিন দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার তিন উপ-পরিদর্শকসহ ১০ সদস্য ও উজিরপুর মডেল থানার এক উপ-পরিদর্শকসহ চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আকতারুজ্জামান।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে প্রেরিত পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একটি স্মারকের বরাতে জানা গেছে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই গৌরনদী মডেল থানার ও চার জন উজিরপুর মডেল থানায় কর্মরত। গৌরনদী মডেল থানার সাময়িক বরখাস্ত কৃতরা হল গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আঃ গাফফার হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছগির মিয়া, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) সোহরাব হোসেন, কনেস্টাবল মোঃ ইকবাল, মোঃ কামাল, মুরছালিন, নয়ন, অমৃত, মেহেদী ও চালক (কনেস্টাবল) আঃ হক রানা। অপারদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উজিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জিয়াউল হায়দার, কনেস্টাবল রবিউল ইসলাম, মোঃ সোহেল রানা ও ইমরান হোসেন।
জানা গেছে, গত ২ জুন দিবাগত রাত ৩টা ২০মিনিটে বিভাগীয় সদর দপ্তর কম্পাউন্ডের মধ্যে থাকা গ্যারেজ থেকে ইয়ামাহা একটি মটর সাইকেল চুরি হয়। পরবর্তীতে বিভাগীয় সদর দপ্তর কম্পাউন্ডসহ ঢাকা-বরিশাল হাইওয়েতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অজ্ঞাতনামা এক চোর খালি পায়ে, চাবিবিহীন অবস্থায় মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। চোর মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে হয়ে প্রথমে বরিশাল জেলার উজিরপুর ও গৌরনদী থানা এলাকার প্রবেশকালীন চেকপোষ্ট হয়ে ফরিদপুরেরও ভাঙ্গা থানার দিকে চলে যায়।গৌরনদী ও উজিরপুর থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুরিশ সদস্যগনের সেইরাতে মোবাইল ডিউটি থাকা সত্বেও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে নাই বলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রতীয়মানও হয়। যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো তাহলে চোরসহ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা সম্ভব হতো, আর তা না হওয়ায় নির্বিঘেœ চোর সকল স্থান অতিক্রম করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান আরো জানান, দায়িত্ব অবহেলার কারনে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করাসহ বিভাগীয় মামলাও দায়ের প্রকিয়া অব্যহত রয়েছে। গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আল বেরুণী ও গৌরনদী ও উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না বলে জানান।