গৌরনদী
গৌরনদীর রাজা ভাইর দাম হাকছে ২৭ লাখ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের সেলিম হাওলাদারের (৪৬) রাজা ভাইর দাম হাকছে ২৭ লাখ টাকা। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট উচ্চতা ও ৪০ মণ ওজনের রাজা ভাই নামের ষাড়টি ক্রয়ের জন্য প্রতিদিন বাড়িতে ভিড় করছে অসংখ্য ক্রেতা সাধারন।
গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের সেলিম হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, চার বছর আগে সেলিম হাওলাদার পাাশ্ববর্তি উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকায় ৯ মাসের এই বাচ্চা ষাড়টি পালনের জন্য ক্রয় করেন। এর পরে অধিক মুনাফার আশায় নিজের বাড়িতে দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি মোটাতাজা করার প্রক্রিয়ায় লালন পালন শুরু করেন। বাচ্চা ষাড়টি ক্রয় করে নিজ বাড়িতে এনে তিনি (সেলিম) এর নাম রাখেন রাজা ভাই। চার বছর পালন করার পরে বর্তমানে ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট উচ্চতা ও ৪০ মণ ওজন হয়েছে।
সেলিম হাওলাদার বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজা ভাইকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিদিন বাড়িতে এটি দেখা ও কেনার জন্য শত শত মানুষ ভিড় জমায়। গরুটি ফিজিয়ান জাতের। এর খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গম ও ধানের ভুসি, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈল বীজের খৈল, ছোলা ও খুদে ভাত। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক মণ খাবার খায়। শুরুর দিকে খাবার কম খেলেও দিনে দিনে তার খাবার পরিমাণ বাড়ে। বর্তমানে গরুটির ওজন প্রায় ৪০ মণ। ‘এ ধরনের গরু লালন – পালন খুবই কষ্টের। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে আমরা রাজা ভাই গরুটি পালন করেছি। পরিবারের সবাই মিলে যতœ নিয়ে বড় করেছি। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। ২৭ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। তিনি জানান এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা গরুটির দাম উঠেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দেখবো তারপরেও সবচেয়ে বেশী দাম যিনি বলবেন তার কাছে বিক্রি করে দিবো।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে দুটি মোটা দড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে গরুটি। আর তাকে দেখতে বাড়ি ভর্তি মানুষ। শত মন্তব্য দর্শনার্থীদের। আর মালিকের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসায় যেন মন খারাপ রাজা ভাইর। সেলিমের স্ত্রী কমলা বেগম বলেন, ‘আমরা সন্তানের মতন করে রাজা ভাইকে পালছি। কোনদিন কোনো কষ্ট দেইনেই। এখন অনেক মানুষ গরুটা দেখতে আমাদের বাড়িত আসতেছে। ইহা ভালোই লাগতেছে। তবে রাজা ভাই চলে যাবে এমনটি ভাবতে মনটা খারাপ লাগে। গরু দেখতে আসা স্থানীয় বাচ্ছু রহমান জানান, এ অঞ্চলে এত বড় গরু আগে কখনো দেখেননি। সখের বসে অনেকই কিনতে আসেন কিন্তু দরদাম করে চলে যান। হয়তো শেষ সময়ে বিক্রি হয়ে যাবে।