গৌরনদী
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
সম্প্রতি সময়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি, বিভিন্ন অনলাইন ও বরিশাল থেকে প্রকাশিত কতিপয় স্থানীয় দৈনিক ও গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “দূবৃত্তের ভয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী পালিয়ে বেড়াচ্ছে” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ।
কথিত মুক্তিযোদ্ধার বিধূবা অসহায় স্ত্রী রোজিনা সুলতানার বরাত দিয়ে সংবাদের শুরুতেই বলা হয়, উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ মৌজার আর.এস. সি.এস ও হাল জরিপে ৫৯ শতাংশ জমির মালিক তার স্বামী ওই গ্রামের ফরিদ উদ্দিন গং। তার স্বামী উক্ত সম্পত্তি গত ৫০ বছর ধরে ভোগ করে গেছে। মোঃ ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার মারা যাওয়ার পরে বিধূবা রোজিনাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে ভিটেমাটি দখলের পায়তারা করেছে প্রতিবেশী মৃত সিরাজ উদ্দিন বেপারীর পুত্র প্রভাবশালী নূর ইসলাম বেপারী (৬০) । গত তিন বছর ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পত্তি দখল নিতে ব্যর্থ হয়ে এখন সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এ কথা আদৌ সত্য নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে পৈত্রিক সূত্রে ও জমির বৈধ ও রেকর্ডিয় মালিক হচ্ছে আমার বাবা নূর ইসলাম বেপারী। ফরিদ উদ্দিন গংরা ১৯৫৫ সালের ১২ ডিসেম্বর জনৈক মাজেদ আলী বেপারীর কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু জমিতে মাজেদ আলীর কোন মালিকানা সত্য নেই, মাজেদ আলী দাতা হিসেবে কাউকে জমি দলিল দেয়ার ক্ষমতা নেই। কারন তার মালিকানা সত্য সঠিক নয়। মাজেদ আলী খায়-খালাসি হিসেবে জমির দাবিদার। মাজেদ আলীর কাছ থেকে ফরিদ উদ্দিন গংদের নেওয়া দলিলটি ভূয়া। ওই ভুয়া দলিলের বিরুদ্ধে গৌরনদী সহকারী জজ আদালত আমার বাবা নূরুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭৮/২০১৫। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আমরা জোর করে কারো জমি দখল করতে যাইনি। বরং রোজিনা সুলতানা গংরা জমি দখলের চেষ্টা করলে আমার বাবা নূরুল ইসলামের আবেদনের পেক্ষিতে আদালতের বিচারক জমিতে স্থিতি অবস্থা জাড়ি করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে কথিত মুক্তিযোদ্ধার ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রোজিনা সুলতানা ২০১৬ সালে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের জমি জবর দখল করে ঘর বাড়ি তৈরী করে সেখানে বসবাস করছে। অথচ রোজিনা সুলতানা সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কাল্পনিকও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যাতে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধার অসহায় বিধূবা স্ত্রী ধূয়া তুলে রোজিনা সুলতানা স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে ইমোশোনাল বøাক মেইল করে তাদের কাছ থেকে সহানুভূতি ও বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে। প্রকৃত সত্য আড়াল করতে সু-চতুর রোজিনা সংবাদ কর্মীদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে একের পর এক সু-নিপুন অভিনয় করছে।
সংবাদে আরো বলা হয়, নূর ইসলাম রোজিনার জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মান করলে বাধা দিলে আমরা তার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করেছি। এ কথা মিথ্যার বেসারতি ছাড়াই কিছুই না। আমার বাবা নূর ইসলাম নিজের বৈধ জমিতে সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক মোল্লার লিখিত অনুমতি নিয়ে রাস্তা নির্মান করেন। রোজিনা সুলতানা একদল সন্ত্রাসী নিয়ে সেখানে হামলা করে শ্রমিকদের মারধর করে নির্মিত রাস্ত কেটে নিশ্চিহ্ন করে দেন। সে আমাদের ওপর হামলা করে থানায় গিয়ে উল্টো আমার বাবা ভাই ও মাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার বাড়িতে আদৌ হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। যে এহেন কাজ করতে পারে সে কি করে অসহায় হয়? এখানেও সে মুক্তিযোদ্ধার অসহায় বিধূবা স্ত্রী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী ও জব্দ করেছে। আমরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসলে রোজিনা সুলতানা আমাদের বিরুদ্ধে নতুন ষরযন্ত্র শুরু করে। সে আমাদের জামিন বাতিল করার চক্রান্ত হিসেবে পরবর্তিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হামলার মিথ্যা গল্প বানিয়ে থানায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা একাধিক জিডি করেছে। শুধু তাই সে নিরাপদে বাড়িতে বসবাস করলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে সংবাদ কর্মী, প্রশাসন ও নেতাদের কাছে গিয়ে “প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন” বলে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদটিতে রোজিনা সুলতানার বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। প্রকাশিত সংবাদের কোন সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নেই। প্রকাশিত সংবাদে আমার বাবা নূর ইসলামের বিরুদ্ধে এক তরফাভাবে মিথ্যাচার চালানো হয়েছে।
রোজিনা সুলতানার স্বামী ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার ও দেবর হেমায়েত উদ্দিন বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা। কারন ফরিদ উদ্দিনের জন্ম তারিখ ১-২-১৯৫৫, তার মেঝ ভাই এনায়েত হাওলাদারের জন্ম তারিখ ১১-৩-১৯৬৭ ও তার তৃতীয় ভাই কথিত মুক্তিযোদ্ধা হেমাযেত হাওলাদারের জন্ম তারিখ ১৮-৩-১৯৫৫। তাহলে কি কথিত মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিনের জন্মের ১ মাস ১৭ দিন পরে তৃতীয় ভাই জন্ম নিয়েছে? সুধী মহলের প্রশ্ন তাহলে বড় ভাই ফরিদ ও তৃতীয় ভাই একই বছরে জন্ম নিয়েছে? তাদের মুক্তিযোদ্ধা দাবির বিষয়টি শুধু বিতর্কিত না অগ্রহনযোগ্য। বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন ও হেমায়েত উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল চেয়ে মক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করা হয়েছে যার তদন্ত চলছে। ফরিদের মেজ ভাই এনায়েতের জন্ম ১৯৬৫ সালে হলে তার জন্মের আগে ১৯৫৫ সালের দলিল মূলে জমি কিনেন কিভাবে? আমার বাবা নূরুল ইসলামের বৈধ সম্পত্তি ফরিদ উদ্দিনের বিধূবা স্ত্রী রোজিনা সুলতানা ভূয়া দলিল মূলে জবর দখল করে ভোগ করতে চান। বাধা দিলেই মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানী করা হয়। আমার বাবা এলাকায় একজন সম্মানিত ব্যক্তি তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে রোজিনা সুলতানা একের পর এক ষরযন্ত্র করে যাচ্ছে এবং ষরযন্ত্রের অংশ হিসেবে রোজিনা সাংবাদিক ভাইদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবারহ করে সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটিতে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। প্রকাশিত সংবাদ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমি গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস, মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেনসহ উর্ধতন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক সত্য উদঘাটন করা হোক। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের কাছে আবেদন আপনারা সরেজমিনে এসে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য তথ্য জাতির কাছে উপস্থাপন করেন। সত্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষরযন্ত্রকারী রোজিনা সুলতানার চেহারা সমাজে উম্মেচিত হোক এটাই আশা করি।
মোঃ ফিরোজ মাহমুদ
পিতাঃ নুরুল ইসলাম
গ্রাম ঃ পূর্ব হোসেনাবাদ
গৌরনদী, বরিশাল।