গৌরনদী
মাদ্রসা ও কমপ্লেক্সের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ, চাঁদা না দিতে প্রতিষ্ঠাতার আহবান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্সের পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে মাদ্রাসা ও কমপ্লেক্স পরিচালনায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ (৬৫)। তিনি মাদ্রাসা ও কমপ্লেক্স চাঁদা না দিতে সমাজের বৃত্তবানসহ সর্ব স্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ (৬৫) অভিযোগ করে বলেন, আমি ২০০১ সালে জেএল ৫৬ রুপাতলী মৌজার মোট সাড়ে ৪৫শতাংশ জমি নিজ নামে ক্রয় করি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যেখানে থাকবে আমার ব্যক্তিগত বসতবাড়ি ও নামাজের জন্য মসজিদ। পরিকল্পনা মোতাবেক ক্রয়কৃত জমির পশ্চিম পাশে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছি এবং উত্তর পাশে টিনসেডের ঘর নির্মান করি পরে ঐ টিনসেড ঘরটিকে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করি যেটি মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে জেএল ৫৬ রুপাতলী মৌজায় ঠিক আমার ক্রয়কৃত জমির দক্ষিন পূর্ব-পাশে অবস্থিত একই দাগে মাদ্রাসার জন্য স্থায়ী বা নির্ধারিত স্থান হিসেবে “হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্স এর নামে পৌনে ১৬ বা (১৫.৭৫)শতাংশ জমি কমপ্লেক্স এর পক্ষে জমি গ্রহিতা হিসেবে আমার নিজ নামে ক্রয় করি। মাদ্রাসা ও কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি (মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ) অভিযোগ করে আরো বলেন, সম্প্রতি সময়ে লোকমুখে জানতে পারি হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্সের নাম ব্যবহার করে একটি বিশেষ মহল, স্থানীয় লোকজন ও সমাজের বৃত্তবানদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, আমার প্রতিষ্ঠিত হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসা আমার অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে আসছে। সুতারাং প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় কোন প্রকার চাঁদা নেওয়া হয় না। আপনাদের কাছে সবিনয় নিবেদন আপনারা কেউ এই প্রতিষ্ঠানে কোন চাঁদা বা অনুদান দিবেন না। মাদ্রাসার ভবন নির্মানের সকল ব্যায় আমি নিজেই বহন করবো । ভবন নির্মানের কাজে আমি আপনাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র দোয়া এবং পরামর্শ দিয়ে আমাকে সহযোগীতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি এবং আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ আপনারা হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্সে কোন প্রকার দান-অনুদান দিবেন না।
বিগত দিনে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে কমপ্লেক্সটি পরিচালিত হয়ে আসছে এবং অতীতে-বর্তমান ও ভবিষ্যাতেও হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসাটি আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত হবে। আমি স্পষ্টভাবে ঘোষনা করছি, আমার মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেইনি। অবৈধভাবে আমার অনুমতি ছাড়া বিশেষ ব্যক্তিকে পৃষ্ঠপোষক নিয়োগের মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছেন এবং মাদ্রাসা চত্বরের সামনে বিনা অনুমতিতে যুব হিযবুল্লাহর নামে আমার প্রথিস্ঠিত কমপ্লেক্সের ঠিকানা ব্যবহার করে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আমি সুস্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করছি এখানে যুব হিযবুল্লাহর কোন শাখা কিংবা কোন অফিস নেই। এই বিষয়টি শুধুমাত্র অপ-প্রচার ছাড়া কিছুই নয়। প্রিয় এলাকাবাসী এবং সন্মানিত মুসল্লিগন আপনাদের কাছে আমার বিশেষ আহবান,আপনারা কোন প্রকার চাঁদা-অনুদান নয়, প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় শুধুমাত্র সু-পরামর্শ দিয়ে আমাকে সহায়তা করবেন। অতীব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, স্থানীয় গুটিকয়েক চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী মহল প্রতিষ্ঠানটির নামে চাঁদা আদায়ের অনৈতিক কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা মির্জা নুরুর রহমান বেগ বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, বিষয়টি আমরা চাচা ভাতিজা মিলে সমাধান করতে পারতাম কিন্তু তিনি আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।জমি আমার চাচা কিনেছেন আর পৃষ্ঠপোষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। সকলের সহযোগিতা নিয়েই মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সবাই স্বেচ্ছায় দান করে।