গৌরনদী
খোকন হাওলাদারকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিবাদ
গত ২৪ নভেম্বর ২০২০ইং দৈনিক তারুন্যের বার্তা, দৈনিক সত্য সংবাদ, দৈনিক আলোকিত বরিশাল ও বিনিউজ২৪টিভি ডটকম, বরিশাল বানী ডটকমসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে “গৌরনদীতে ঘরের মধ্যে জিম্মি করে লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিলেন প্রভাবশালী খোকন” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দোশ্য প্রনোদিত ।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, গৌরনদী উপজেলার ধুরিয়াইল গ্রামের সাহেব আলী হাওলাদারের পুত্র খোকন হাওলাদার তার সহযোগী মহসীন বেপারীসহ কয়েকজনকে নিয়ে করম আলী ফকিরের পুত্র হারুন ফকিরের বাড়িতে ঢুকে হারুন ফকির ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে প্রায় লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যান। সংবাদে উল্লেখিত উক্ত তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গৌরনদী উপজেলার ধানডেবা গ্রামের শাহীন শাহরিয়ার, মহসীন শাহরিয়ারের সঙ্গে ধুরিয়াইল গ্রামের ফাতেমা বেগমের দীর্ঘদিন যাবত জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলছে। উভয় পক্ষ বিষয়টি মিমাংসার জন্য বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্য রাজু আহম্মেদ হারুনকে প্রধান করে ৮জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সালিস মানেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সালিসগন বৈঠক করে সার্ভেয়ার নিয়ে জমি মাপ দিয়ে পিলার পূতে দেন । মাপে গাছটি মহসীন পান। সর্ব সম্মতি সিদ্বান্তে সালিসগন গাছটি মহসীনকে দেন। গাছের বৈধ মালিক হিসেবে মহসীন গাছটি কেটে নেন। জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে লিখিত সালিস নামায় উভয় পক্ষের ও সালিসগনের স্বাক্ষর রয়েছে। প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের সঙ্গে কেটে নেওয়া গাছের গোঁড়ার ছবি হিসেবে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে ওই ছবি ভিন্ন স্থান থেকে তোলা হয়েছে। মিথ্যা সংবাদটিকে সত্য বানাতে গাছের ছবি নিয়েও চাতুরতা করা হয়েছে। ৮ জন সালিসের মধ্যে আমি একজন সালিস ছিলাম মাত্র। অথচ সংবাদে বলা হয়, ঘরের মধ্যে আটকে আমি গাছ কেটে নিয়েছি। সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মিথা সংবাদে আমার নামে ব্রাকেট দিয়ে অসম্মান জনক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের ভাষাগুলো আপত্তিকর। সাংবাদিকতার নীতিমালা বর্হিভূত। এমন কি ডিজিটাল আইনে অপরাধ হিসেবেও গন্য হয়। উদ্দোশ্যমূলকভাবে আমার সম্মানহানি ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা হয়েছে।
হারুন ফকিরের বরাত দিয়ে বলা হয়, আমার ভয়ে ঘরের মধ্যে থাকেন এবং আমি নাকি হারুন ফকিরের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছি। উল্লেখিত বক্তব্য মিথ্যার বেসারতি ছাড়া কিছুই নয়। সংবাদে আমার বক্তব্য হিসেবে মনগড়া কথা লিখে আমার বক্তব্য হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার সুনাম- জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কতিপয় সাংবাদিককে প্ররোচিত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদে প্রকাশ করিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা নেই। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
খোকন হাওলাদার
সভাপতি, সাদ্দাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতি
সভাপতি, কারিতাস কারিগরি স্কুল ও
সভাপতি, ধানডোবা গ্রাম উন্নয়ন সমিতি,
গৌরনদী, বরিশাল।