গৌরনদী
গৌরনদী সাব-রেজিষ্টার অফিসে হামলার ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে সুজন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ ও গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন খলিফাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ। বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হেমায়েত উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কারের ঘোষনা দেয়া হয়।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হেমায়েত উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, গৌরনদীতে সরকারি কাজে বাঁধাদান, অফিসে হামলা ভাঙচুর করার অভিযোগে গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে সুজন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ ও গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন খলিফাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
গত ২০ আগষ্ট গৌরনদী দলিল লেখক সমিতির সদস্য কামাল হোসেন মিয়া দলিল রেজিষ্টারী করার জন্য সাব-রেজিষ্টারি কার্যালয়ে একটি দলিল দাখিল করেন। দলিলটির ২জন দাতার জন্ম নিবন্ধন ও ২ জন দাতার জাতীয় পরিচয়পত্র জাল প্রমানিত হওয়ায় সাব রেজিষ্টার মুবাশ্বেরা সিদ্দিকা দলিল রেজিষ্টারি বন্ধ করে দেন। গত রোববার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতারা ওই দলিল সম্পন্ন করার জন্য রেজিষ্টার মুবাশ্বেরা সিদ্দিকাকে চাপ প্রয়োগ করেন। এ নিয়ে বাকবিতান্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাব-রেজিষ্টার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, আসবাবপত্র তছনছ ও ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই সাব রেজিষ্টার মুবাশ্বেরা সিদ্দিকা বাদি হয়ে বহিস্কৃত তিন ছাত্রলীগ নেতার নামউল্লেক ও অজ্ঞাতনামাসহ ১৫ জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাখাওয়াৎ হোসেন সুজন বলেন, আমার মা একটি দলিলের গৃহীতা। ওই দলিলটি রেজিষ্টারি করতে গেলে ৭জন দাতার মধ্যে ৪ জন দাতার কাগজপত্রে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরবর্তিতে রোববার আমি কাগজপত্র সংশোধন করে নিয়ে গেলে সাব-রেজিষ্টার দলিল নিবন্ধন করতে চাইলেও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কাওছার তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বহিস্কারের সত্যতা স্বীকার করে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ ও গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন খলিফাসহ তিন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, দলের সিদ্বান্তের প্রতি আমরা আস্থাশীল হয়ে দলীয় সিদ্বান্ত আমরা মেনে নিয়েছি।