বরিশাল
গভীর রাতে উজিরপুর জেলেপাড়ায় এ.এস.আই নিজামের চাঁদাবাজি
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের উজিরপুর পৌরসভাধীন জেলে পাড়ায় গভীর রাতে হানা দিয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার পৌরসভাধীন সিকদার পাড়া মাসুদ সিকদারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর পৌর এলাকার জন মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকেন। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতেও পুলিশ সদস্যরা পৌর এলাকায় টহল ডিউটি করতে এসে পুরো পৌর এলাকা ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রেখে তারা ওৎ পেতে বসে ছিল উজিরপুর সিকদার পাড়া খেয়া ঘাটে। কখন জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে আসে। ওই রাতে পৌর এলাকায় টহল টিমের দায়িত্বে ছিল এ.এস.আই নিজাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানায়, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে পৌর এলাকার টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা এ.এস.আই নিজামসহ তার সংঙ্গীয় ফোর্সরা খেয়া ঘাটের যাত্রী ছাউনিতে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় ওই এলাকার জেলে শাহিন ও আলমগীর নদী থেকে ছোট ছোট কাঁচকি,ধলী ও চেলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকার মাছ ধরে অপর জেলে মাসুদ সিকদারের কাছে বিক্রি করে তার খেয়া ঘাটস্থ বাড়ীতে অবস্থান করে আস্ত বরফ ভেঙে মাছে দিচ্ছিল। বরফ ভাঙার শব্দে যাত্রী ছাউনিতে ঘুমিয়ে থাকা এ.এস.আই নিজামসহ পুরো টহল পুলিশ দল জেলে মাসুদের বাড়ীতে গিয়ে ওই মাছ এবং জেলে শাহিন ও আলমগীরসহ মোট ৩জনকে আটক করে মাসুদের কাছে ২৫হাজার টাকা দাবী করে। অনেক দর কসাকসির পরে ১০হাজার টাকায় এ.এস.আই নিজাম আপোষ হলে মাছসহ জেলেদের ছেড়ে দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় এ.এস.আই নিজাম তার উপরস্থ কর্মকর্তা উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সরোয়ার হোসেনকে ম্যানেজ করার কথা বলেন এবং পুলিশের এ অন্যায় দাবীর বিরুদ্ধে স্থানীয় জন-প্রতিনিধি থেকে শুরু করে আ’লীগের অনেক রাঘোব বোয়াল নেতারা তাৎক্ষনিক অনুরোধ করলেও তাতে কোন লাভ হয়নি। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার এ.এস.আই নিজামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আপনি একা বিকালে একটু আমার সাথে দেখা করবেন। বিষয়টি সম্পর্কে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সরোয়ার হোসেন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।