বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় বাল্য বিয়ের অপরাধে কনের চাচার ছয় মাসের কারাদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্বসুজনকাঠী গ্রামে বাল্য বিয়ের অপরাধে কনের এক চাচাকে ছয় মাসের করাদন্ড দিয়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস। দÐপ্রাপ্ত আসামিকে সোমবার বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানান, গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে মো. মহসীন মিয়ার (২৫) সঙ্গে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্বসুজনকাঠী গ্রামের ফিরোজ সরদারের কন্যা রুপা আক্তারের (১৪) বিয়ে ঠিক হয়। কনের পরিবারের অনিচ্ছা সত্বেও কনের চাচা ও বরের মামা মো. ফরিদ সরদার এককভাবে বিয়ের সিদ্বাান্ত নিয়ে রোববার বিয়ের তারিখ নির্ধারন করে বর মহসীন মিয়াকে তার বাড়িতে (পুর্ব সুজনকাঠী গ্রামে) নিয়ে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করেন। বর কনে সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই বোন।
গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কনের চাচা ও বরের মামা ফরিদ সরদার একার সিদ্বান্তে ওই দিন দুপুরে গ্রাম্য মৌলভী হাফেজ মো. জামাল সরদারকে ডেকে সরকারি রেজিষ্ট্রি ছাড়াই শরীয়া মোতাবেক বিয়ে পড়ান। স্থানীয়রা বিষয়টি আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাসকে অবহিত করলে ইউএনও এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আগৈলঝাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা দীপিকা রানী সেন ও আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব প্রদান করেন। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা দীপিকা রানী সেন জানান, পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বড়, কনেসহ স্বজনদের পাওয়া যায়নি। বিয়ের আয়োজক মো. ফরিদ সরদারকে পেয়ে তাকে আটক করে আগৈলঝাড়া উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস কার্যালয়ে হাজির করা হলে অভিযুক্ত ফরিদ নিজের বাল্য বিয়ের কথাস্বীকার করেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করার অভিযোগে অভিযুক্ত ফরিদ সরদারকে ৬ মাসের কারাদÐ প্রদান করা হয়েছে। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফরিদ সরদারকে গতকাল সোমবার সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।