প্রধান সংবাদ
গৌরনদীতে ডিশ লাইন নিয়ে বিরোধ \ ১৭ যুবলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা \ গ্রেফতার-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ ডিশ লাইন কেটে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়াায় যুবলীগের দু’গ্রæপের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ১টি বসতঘর ভাংচুর ও সাবেক তিন জনপ্রতিনিধিসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় গৈলা ইউপির সাবেক সদস্য যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম দরবেশকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় যুবলীগের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে গৌরনদী থানা পুলিশ। এনিয়ে ওই এলাকায় উভয় গ্রæপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও স্থানীয়রা জানান, গত ১০/১২ বছর ধরে গৌরনদী উপজেলার বিল্লাগ্রাম বাজারসহ আশপাশ এলাকার কেবল ব্যবসা করেন গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের সদস্য সলিল গুহ ও আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পতিহার এলাকায় ব্যবসা করেন গৈলা ইউনিয়ন যুবলীগের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মৃতুঞ্জয় সরকার, গৈলা ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল মৃধা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য দিপু দে । কিছুদিন যাবত ওই এলাকার কেবল ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার চেষ্টা করছেন গৈলা ইউনিয় পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আগৈলঝাড়া উপজেলা যুবললীগের সদস্য মো. জামাল গোমস্তা ও গৌরনদী পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল ও পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম অহবায়ক মো. ফিরোজ রহামান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়।
মঙ্গলবার বিকালে আগৈলঝাড়ার পতিহার গ্রামের ডিশ ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা মৃতুঞ্জয় সরকারের ডিশ লাইনের তার কেটে দেয় জামালের লোকজন। এ সময় বাঁধা দিলে জামাল গোমস্তার সমর্থকরা পতিহার গ্রামের লক্ষন দে’র বাড়িতে হামলা চালিয়ে কল্পনা দে, কল্যানী কাপালী, কাঠমিস্ত্রি বিভূতি হালদার, বিপুল গাইনকে পিটিয়ে আহত ও লক্ষন দে’র বসত ঘর ভাংচুর করে। একইদিন রাতে প্রতিপক্ষ জামাল গোমস্তার লোকজন গৈলা ইউপির সাবেক সদস্য যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ওরফে দরবেশকে বিল্বগ্রাম বাজার এলাকায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় উভয় গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলায় গৈলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা জামাল গোমস্তা, সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম দরবেশ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর যুবরীগ নেতা ফিরোজ রহমান, যুবলীগ কর্মী মৃতুঞ্জয় সরকার, লক্ষণ দেসহ উভয় পক্ষের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে জামাল গোমস্তাকে একাধিকবার ফোণ করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ভাই কামাল গোমস্তা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১০/১২ দিন আগে গৌরনদী পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের সঙ্গে চুক্তি করে এলাকায় কেবল ব্যবসা আমরা নিয়েছি। হামলার সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই বরং ওরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফিরোজ রহমান অভিযোগ করেন, আমি ও জামাল গোমস্তা বিল্লগ্রাম বাজারে গেলে সলিল গুহ তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের ফাঁসাতে নিজেরাই বসতঘর ভাঙচুর করেছে।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, সাইফুল ইসলামের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে ১২ জনের নামোল্লেখসহ ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামি টিুট শিকদার, সুজিত দাস ও সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস, এম, আফজাল হোসেন জানান, অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেনি লিখিত পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।